Facebook
Twitter
LinkedIn
Threads
X
Email
WhatsApp
Telegram
StumbleUpon
Pinterest
Skype
Pocket

ফের বিতর্কিত মন্তব্য ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের

ফের বিতর্কিত মন্তব্য ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের

এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে এক সারিতে বসিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। এদিন তাঁর আক্রমনের বিষয় ছিল উত্তরবঙ্গের পুনর্গঠন ও তারানগরের ভাঙন নিয়ে অবহেলার প্রসঙ্গ। তিনি রাখঢাক না করে স্পষ্ট ভাবে বলেন, ‘যখন উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছে, মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তখন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়ে বসে থাকেন।

 

বিরোধী দলনেতাও দলীয় ভাবে সহযোগিতা করেছেন। অথচ তিন মাস ধরে তারানগর পদ্মার ভাঙনে বিদ্ধস্ত। অবহেলিত তারানগরে কারও দৃষ্টি পড়ে না’। এই অবহেলার জন্য অবশ্য তিনি জেলার নেতা মন্ত্রীদের দুষেছেন। হুমায়ুনের এই বিতর্কীত মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তো বটেই, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গিয়েছে। শুক্রবার ব্যক্তিগত ভাবে ভাঙন বিধ্বস্তদের ত্রাণ পৌঁছিয়ে দিতে তারানগরে গিয়েছিলেন শাসকদলের বিধায়ক হুমায়ুন কবির।

 

সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের বিষ্ফোরক মন্তব্য করে বসেন তিনি। গরুপাচার চক্র থেকে শুভেন্দু অধিকারী এই লালগোলা থেকে কোটি কোটি টাকা ভাগ নিয়ে গিয়েছেন বলে তিনি যেমন দাবি করেছেন। তেমনি নাম না করে নিজের দলের দুই সাংসদ দুদিন আগে লালগোলায় বিজয়া সম্মেলনী করে গেলেও তারানগরে পা রাখেননি বলেও নিজস্ব ভঙ্গিতে তাঁদের কড়া সমালোচনা করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক। মূলত জেলার রাজনৈতিক সচেতন মানুষ ও নেতাদের কামড়া কামড়ির জন্যই যে তারানগরের মত নদী ভাঙনে শীর্ষ নেতৃত্বের নজর পড়েনা সে কথায় বারবার স্পষ্ট করেছেন তিনি।

 

সেক্ষেত্রে নিজেকে বিতর্কিত ব্যক্তি বলতেও দ্বিধা করেননি হুমায়ুন। কার্যত এদিন জেলার মানুষকে তিনি সোচ্চার হওয়ার নিদান দিয়ে গেলেন ভাঙন কবলিত তারানগরে দাঁড়িয়ে। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘মুর্শিদাবাদের মানুষ সোচ্চার হলে তখন হুকের নাম বাবাজি বলে সবাই ছুটবে’। হুমায়ুনের এই বক্তব্যে ভাঙন বিধ্বস্ত শান্ত মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর রসদ লুকিয়ে আছে বলে দাবি করেছেন বাসিন্দারা। সদ্য ঘরবাড়ি হারানো মানুষ গুলোকে ত্রাণ দেওয়ার নামে এই ভাবে উত্তেজিত করার কোনও মানে হয়না বলেও অনেকে দাবি করেছেন।

 

এই বিষয়ে ভাঙনে উদ্বাস্তু শ্যামল কুমার ঘোষ বলেন, ‘পদ্মায় ভাঙন এখনও অব্যাহত। ঘরবাড়ি-ভিটেমাটি হারিয়ে মানুষের মন মেজাজ ভাল নেই। সেই সময় এই রকম কথা বলে মানুষকে উত্তেজিত করার কোনও অর্থ হয় না। অযথা শান্ত মানুষকে অশান্ত করতে উত্তেজিত কথা না বলাই ভাল’। লালগোলা থানার তারানগর এলাকা জঙ্গিপুর সাংসদের মধ্যে পড়ে। আবার ওই এলাকা শাসক দলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত। ওই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সাংসদ খলিলুর রহমান।

READ MORE.....