Facebook
Twitter
LinkedIn
Threads
X
Email
WhatsApp
Telegram
StumbleUpon
Pinterest
Skype
Pocket

বিজেপির ডেপুটেশন ঘিরে ধুন্ধুমার বর্ধমানে

বিজেপির ডেপুটেশন ঘিরে ধুন্ধুমার বর্ধমানে

পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির ডাকে আদিবাসী নেতা তথা সাংসদ খগেন মুর্মু-র উপর হামলার প্রতিবাদে পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন কর্মসূচী ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমানে। শুক্রবার বিকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট চত্ত্বরে জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে বিশাল ব্যারিকেড তৈরি করে রেখেছিল পুলিশ।

 

এদিকে বর্ধমান স্টেশন থেকে বিজেপি কর্মী-সমকর্থকরা মিছিল করে জেলা শাসকের দফতরের উদ্দেশ্যে এগোতেই কার্জন গেটের কাছে সেই ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা এগোতে গেলে পুলিশের সাথে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। দীর্ঘক্ষণ ধস্তাধস্তির পর অবশেষে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে যান। অন্যদিকে কার্জন গেটের সামনে বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা, জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা, বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সহ অন্যান্যরা।

 

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, তৃণমূল হলো গরু পাচার, মানুষ পাচার, নেশার দ্রব্য পাচারের দল। তৃণমূল যে একটা স্মাগলারদের পার্টি সেটা তৃণমূলের নেতারাই বলে। বর্তমানে তৃণমূলের নেতারাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। ১০০ দিনের টাকা সহ জনকল্যাণের টাকা খেয়েই আজ তৃণমূল একটা চোরেদের পার্টি। সেটা জনগণের কাছে প্রমাণিত হয় গেছে। কুকুর যদি মানুষ কে কামরায় তাহলে কি কুকুর-কে মানুষ কামড়াতে যায় ? উত্তরবঙ্গে তাই হয়েছে। ওখানে তৃণমূলের কিছুই নেই। কিন্তু সেখানে তারা চষে বেড়াচ্ছে।

 

আর বিজেপি কর্মীরা গেলে তাদের মারধর করছে। কিন্তু বিজেপি কর্মীরা চুপ আছে। মানুষ খুব বেশি হলে লাঠি নিয়ে কুকুর কে তারায়। ইঁট উঁচিয়ে কুকুর কে তারায়। বর্ধমানে জেলা শাসকের অফিসে তারা আসেন লাঠি উঁচিয়ে কুকুর কে ভয় দেখাতে। কুকুর কামড় দিয়েছে উত্তরবঙ্গে, আর তারা লাঠি উঁচিয়ে সারা বাংলা ঘুরতে শুরু করেছেন। এটাই মানুষের কর্তব্য। অতএব কুকুরকে কামড়ানো মানুষের কাজ না। তিনি বলেন যে, মিউনিসিপ্যালটির চেয়ারম্যান ঠিকমত কালীঘাটে কাটমানি পাঠাচ্ছে না। তাদের বদল করবে।

 

সব চেয়ারম্যান তো এক একটা চোর। আর যিনি বদল করবেন তিনি সবথেকে বড় চোর। তাই এখন চোর চোরকে বাছবেন। তবে যারা মোটা কাটমানি দিচ্ছেন। তারা গদিতে থেকে যাবেন। তাই তৃণমূলের এখন নির্বাচনের আগে কাটমানি পাঠানোর লোক পরিবর্তন করার পালা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদীদের হোমল্যান্ড হলো পশ্চিমবঙ্গ। এটা প্রমাণিত যে ভারতবর্ষে যতগুলো নাশকতা মূলক ঘটনা ঘটেছে। তার সবকিছুর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের যোগ পাওয়া গেছে। অপরাধীরা দেখছে যে পশ্চিমবঙ্গ হল তাদের জন্য সেফ ল্যান্ড।

 

তাই সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি হল এখন পশ্চিমবঙ্গ। তাই যেখানে যা খুশি অপরাধ করো আর পশ্চিমবঙ্গে এসে নিশ্চিন্তে থেকে যাও। কারণ এখানে প্রশাসন বলে কিছুই নেই। না এখানে পুলিশ কোন অপরাধীদের ধরে। না কোন অপরাধীরা এখানে শাস্তি পায়। টাকা দিলেই সব অপরাধ ধুয়ে যায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। কেন্দ্র থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হলে মানুষের কাছে সম্ভবত ২৫ শতাংশ ত্রাণ পৌঁছাবে। বাকি সবকিছুই তৃণমূলের ঘরে যাবে। সেই কথা মাথায় রেখে তারা কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে সরাসরি কেন্দ্র সরকারের পাঠানো ত্রাণ মানুষের কাছে যাতে পৌঁছয়। মাঝে কোনভাবেই তৃণমূলের হাতে সেই ত্রাণ যাতে না পৌঁছায়।

READ MORE.....