দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে বিএলআরও অফিসের এক ক্লার্কের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগের তীর নীলরতন মণ্ডলের দিকে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযুক্ত নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি জমি রাজস্ব বাবদ টাকা নিয়েছেন এবং পরে সেই ৪৮০ টাকা ফেরত দিয়েছেন। তার দাবি, কাজ তাড়াতাড়ি করাতে প্রায়ই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আসতেন এবং তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
জয়নগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সুকুর আলি মোল্লা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং উচ্চ পর্যায়ে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। কোনও সরকারি কর্মী ঘুষ নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বিএলআরও অনুপম চক্রবর্তী জানান, লিখিত অভিযোগ না থাকলেও ভিডিও’র প্রেক্ষাপট খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনাটি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তোপ দাগা।
বাম নেতা অপুর্ব বিশ্বাস অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার ডিএ দিচ্ছে না বলে অন্য উপায়ে আয় করার রাস্তা খুঁজছে সরকারি কর্মীরা। ২০১১ সালের পর থেকেই রাজ্যে দুর্নীতির বিস্তার ঘটেছে বলে দাবি তার। বিজেপি নেতা অলোক হালদারের অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে সরকারি কাজকর্ম অর্থের বিনিময়ে চলছে, সরকারি অফিসে ‘ঘুঘুরবাসা’ তৈরি হয়েছে। তার মতে, সরকার পরিবর্তনই একমাত্র সমাধান। এই ঘুষের ভিডিও এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল, আর সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে সরকারি দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে।