দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর কয়েক দিনের অপেক্ষা, কাশফুল, শিউলির গন্ধ আর ঝলমলে আকাশ জানান দিচ্ছে মায়ের আগমন। কেনাকাটার পাশাপাশি চলছে, মাকে বরণ করার প্রস্তুতিও। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহা গ্রামের নামোপাড়ায় সেই ব্যস্ততা চোখে পড়ে। এখানেই হয় জামুড়িয়ার বিরকুলটি গ্রামের তৎকালীন জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। ঘটনাসূত্রে জানা যায় বিরকুলটির তৎকালীন জমিদার নিত্য গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের বিষয় সম্পত্তি ছিল দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকেও।
সেই সূত্রে ছিল লাউদোহা গ্রামে আসা যাওয়া। প্রায় ২০০ বছর আগে তিনি এখানে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। পরবর্তীকালে সেই পুজোর দায় বর্তায় নিত্যগোপাল বাবুর সন্তান ডাঃ গোবর্ধন চ্যাটার্জির উপর। তার ছিল দুই স্ত্রী, প্রথম স্ত্রী পুষ্পরাণি আর দ্বিতীয় স্ত্রীর ছিলেন প্রমিলা সুন্দরী। কিন্তু তাদের কোন সন্তান ছিল না। ১৯৫৪ সালে জমিদারি প্রথার বিলোপ হয়। তার বছর দশ পর ১৯৬৪ সালে গোবর্ধন বাবু পারিবারিক পুজোর দায়িত্ব দিয়ে যান গ্রামের ক্ষিতীশ চ্যাটার্জী, হরেন্দ্র কুমার চ্যাটার্জী, সুধাংশু চ্যাটার্জিদের। তখন থেকে চ্যাটার্জি পরিবার জমিদারদের ছেড়ে যাওয়া পুজোর আয়োজন করে আসছে ধারাবাহিকভাবে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী হয় ছাগ বলি।
পুজোর সূচনা হয় ষষ্ঠীর দিন থেকে। চ্যাটার্জি পরিবারের বর্তমান সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, সোমনাথ চ্যাটার্জিরা জানান, পুজোর দায়িত্ব অর্পণের সাথে বেশ কিছু সম্পত্তিও দান করে গেছেন প্রয়াত জমিদার পরিবার। সেই সম্পত্তি দেখভালের জন্য রয়েছে ট্রাস্টি বোর্ড। সম্পত্তির আয় থেকেই পুজোর আয়োজন হয়। আরও বলেন ‘তারা মা কালি’ তাদের কুল দেবতা। ষষ্ঠীর দিন প্রথমে কুল দেবতা তারা মায়ের পূজো হয় তারপর শুরু হয় দুর্গাপুজো।