Facebook
Twitter
LinkedIn
Threads
X
Email
WhatsApp
Telegram
StumbleUpon
Pinterest
Skype
Pocket

নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে চিকেনস নেকের সেতুর উপর মকড্রিল

নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে চিকেনস নেকের সেতুর উপর মকড্রিল

চিকেনস নেকের পাহারায় এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তিস্তা এবং তিস্তার একাধিক সেতু লাগোয়া এলাকায়। ওই তল্লাটে কঠোর থেকে কঠোরতম পাহারার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সে কারণেই তিস্তার উপরে থাকা সেতুগুলোয় বাড়তি নজরদারির সিদ্ধান্ত। চিকেনস নেকের এলাকায় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নদীই হল তিস্তা।

সিকিম থেকে বেরিয়ে সরাসরি কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে তিস্তা। আর রাজ্যের তিস্তা বাজার থেকে সেবক, গজলডোবা জলপাইগুড়ি এবং মেখলিগঞ্জ হলদিবাড়ি জয়ী সেতুর মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ সেতু রয়েছে। এই সেতুগুলো উত্তরবঙ্গের রাজধানী শিলিগুড়ির সঙ্গে সরাসরি উত্তর পূর্ব ভারতের সবকটি যোগাযোগের মাধ্যম। তিস্তা না পেরিয়ে কোনও ভাবেই শিলিগুড়ি প্রবেশ সম্ভব নয়। একই ভাবে সিকিমের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করা যাবে না। ফলে, এই তল্লাটে প্রহরা বাড়ানো জরুরি বলে দাবি নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের।

সেতুর উপরে আচমকা বড় কোনও নাশকতার চেষ্টা চললে তার দ্রুত মোকাবিলা করা হবে কোন পথে, সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। সেতু লাগোয়া এলাকায় নিয়মিত চলছে মহড়া। কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রশিক্ষিত দলকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে তিস্তা সেতু রক্ষার্থে আয়োজিত হয়েছে মহড়া। বাগডোগরার বায়ুসেনা ঘাঁটি এবং হাসিমারা সেতুতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বায়ুসেনার রুটিন ওয়াচ ট্রায়াল প্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মসূচিতে তিস্তার পাহাড়ি এলাকার সেতুগুলো নজরদারি করতে নিয়মিত হেলিকপ্টার ওড়াবার নির্দেশ রয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

সেবক থেকে গজলডোবার মাঝে তিস্তার বাম চর এলাকায় রয়েছে রাজ্যের সব থেকে বড় সেনা ফায়ারিং রেঞ্জ। নানা ধরনের আধুনিক যন্ত্র ও রোবটিক্সের ব্যবহারের মাধ্যমে এই এলাকায় প্রশিক্ষণ চলেছে। কপ্টার থেকে প্যারাট্রুপারদের নামিয়েও প্রশিক্ষণ হচ্ছে নিয়মিত। সব মিলিয়ে তিস্তায় কড়া সতর্কীকরণ চিকেনস নেকের পাহারায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে দাবি প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তাদের।

READ MORE.....