শিক্ষক নিয়োগে অভিজ্ঞতার কারণে দেওয়া বাড়তি ১০ নম্বর বাতিলের দাবিতে ফের উত্তাল হল ধর্মতলা। বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হলেন কয়েকশো নতুন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থী।
তাঁদের অভিযোগ, এসএসসি-র এই নিয়মের কারণে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও ইন্টারভিউয়ের সুযোগ হারাচ্ছেন ফ্রেশাররা। অবিলম্বে এই বৈষম্য দূর করার দাবিতে পাঁচ দফা স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। ২০১৬-র প্যানেল বাতিলের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে নিয়মে কিছু বদল আনে কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কর্মরত শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার নিরিখে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া হবে। এর ফলেই শুরু হয়েছে বিপত্তি।
নতুন চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ৫৮-৫৯ নম্বর পেয়েও তাঁরা ব্রাত্য থাকছেন। অথচ অভিজ্ঞতার নম্বর যোগ হওয়ায় কম নম্বর পেয়েও ডাক পাচ্ছেন কর্মরত শিক্ষকরা। বিক্ষোভকারীদের স্পষ্ট বার্তা, আমাদের এখন শ্রেণিকক্ষে থাকার কথা ছিল, অথচ অধিকারের লড়াইয়ে রাজপথে নামতে হচ্ছে। একই পরীক্ষায় বসে দুই ধরনের মানদণ্ড মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, কমিশন ও সরকারকে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। হয় বাড়তি নম্বর বাতিল হোক, নয়তো এমন ব্যবস্থা করা হোক যাতে নতুনদের মেধা অবহেলিত না হয়। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।














