শনিবার বীরপাড়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘নির্মলা সীতারামনের উদ্যোগে অসমে ৬৮৫.৭০ কোটি ও পশ্চিমবঙ্গে ৩১৩.৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ইতিমধ্যে অসম সরকার ২৯৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। ওই টাকা খরচের জন্য স্টেট লেভেল কমিটি গঠন করতে হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওই কমিটি গঠন করেনি। তাই ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড এক টাকাও খরচ করতে পারেনি।’
আলিপুরদুয়ার জেলায় ৬৩টি চা বাগান রয়েছে।
মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকে রয়েছে ১৯টি চা বাগান। মাদারিহাট বিধানসভা এলাকায় ২৪টি। মাদারিহাট বিধানসভার বুথ সংখ্যা ২২৩। এর মধ্যে ২৪টি চা বাগানে ১০০টি বুথ রয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলাও চা বাগান অধ্যুষিত। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা এলাকার চা বলয়ে বুথসংখ্যা ৪৮৩। তাই ভোট এগিয়ে এলে দুই জেলায় চা বলয়কে কেন্দ্র করে রাজনীতি আবর্তিত হয়। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তাই চা বলয়ের ভোট নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিতে টানাটানি শুরু হয়েছে।
এদিন দুই জেলার চা শ্রমিকদের সমস্যার কথা টেনে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন। কালচিনির মধু, চিনচুলা, দলসিংপাড়া, মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের লঙ্কাপাড়া, রামঝোরা ও নাগরাকাটার দেবপাড়া চা বাগানগুলি বন্ধ। দুই জেলার ১৩টি চা বাগানে চার-পাঁচ মাস ধরে শ্রমিক ও কর্মচারীরা মজুরি, বেতন পাননি। শুভেন্দুর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক চা বাগান বন্ধ করেছেন। চা বাগানে হোমস্টে, বার ও রেস্তোরাঁ তৈরির জন্য ২৫ শতাংশ জমি বেসরকারি মালিকানায় দিতে আইন পাশ করেছেন। চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। অথচ শ্রমিকরা চা বাগানের প্রকৃত মালিক। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে চা শ্রমিকদের জমির মালিকানা দেওয়া হবে।’
একসময় মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকে ডানকানসের বাগানগুলি বন্ধ ছিল। ২০১৬ সালে বীরপাড়ায় ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই বাগানগুলি অধিগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য অধিগ্রহণ হয়নি। পরে ২০২১ সালে চা শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করে।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিকবড়াইকের পালটা মন্তব্য, ‘শুভেন্দু অধিকারী ভুলভাল বকছেন।














