Facebook
Twitter
LinkedIn
Threads
X
Email
WhatsApp
Telegram
StumbleUpon
Pinterest
Skype
Pocket

‘মুনির’ উত্তাপে পুড়ছে পাকিস্তান

‘মুনির’ উত্তাপে পুড়ছে পাকিস্তান

রবিবার দেশজুড়ে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে বিরোধী দলগুলো। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার যে সংশোধনী বিলটি উত্থাপন করেছে, তা “রাষ্ট্রের ক্ষমতার ভারসাম্য পাল্টে দেবে” বলে দাবি করছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, এই সংশোধনী পাকিস্তানের সংবিধানের ভিত্তিকেই নাড়িয়ে দেবে এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতা অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেবে।

 

প্রস্তাবিত ২৭তম সংশোধনীতে সর্বাধিক বিতর্কিত বিষয় হল চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস  নামের একটি নতুন শক্তিশালী পদ সৃষ্টির প্রস্তাব। এই পদে অধিষ্ঠিত হবেন বর্তমান আর্মি চিফ, ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। এর মাধ্যমে তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী—তিন বাহিনীর সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে একক ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে উঠবেন। পাশাপাশি, এই সংশোধনী তাঁকে আজীবন বিশেষ সুবিধা ও আজীবন আইনি দায়মুক্তি দেওয়ার পথ খুলে দিচ্ছে।

 

পাকিস্তানের এক নেতা অভিযোগ করে বলেছেন, “আসিম মুনির নিজের ‘অতীত কর্মকাণ্ডের ভয়’-এ নিজেকে রক্ষা করতে আইনের চারপাশে লোহার দেওয়াল তুলছেন। তিনি জানেন, দেশের সঙ্গে যা করেছেন, তার জবাবদিহি একদিন করতে হবে, তাই আজীবন দায়মুক্তি চাইছেন।

 

বিলটিতে আরেকটি বড় পরিবর্তন হল ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট  গঠন। এই আদালত গঠন হলে সংবিধান ব্যাখ্যা এবং কেন্দ্র–প্রদেশ বিরোধ নিষ্পত্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা সংকুচিত হয়ে শুধু আপিল শুনানিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে। উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে দেশের প্রেসিডেন্টকেও আজীবন ফৌজদারি দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।

 

আরেক বিরোধী নেতা আবুজার সালমান নিয়াজি বলেন, ক্ষমতাবানের আদালতে পাকিস্তানের সংবিধান ও বিচারব্যবস্থা অপরাধী হিসেবে দণ্ডিত হচ্ছে। ২৬তম ও ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারব্যবস্থার মৃত্যু নিশ্চিত করা হচ্ছে।

READ MORE.....