রাজ্য সরকারকে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখেই কি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বুথ স্তরের আধিকারিক বা বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে? নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এমনই এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, শিক্ষা দফতরকে কোনওভাবে না জানিয়েই শিক্ষকদের এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। মন্ত্রীর মতে, এটি কেন্দ্রীয় কমিশনের ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মানসিকতা’। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে।
চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যাতে শিক্ষকদের বিএলও বা এসআইআর সংক্রান্ত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, সেই মর্মে কমিশনকে চিঠি দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ব্রাত্য বসু এদিন স্পষ্ট জানান, পর্ষদের এই দাবিকে রাজ্য সরকার পূর্ণ সমর্থন করছে। তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের বেতন ও পেনশন সুনিশ্চিত। ভিন রাজ্যের মতো এখানে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের ভিড় নেই। সম্ভবত সেই কারণেই রাজ্যকে এড়িয়ে শিক্ষকদের সরাসরি ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। পর্ষদ সূত্রে খবর, এবারের মাধ্যমিকে রাজ্যজুড়ে মোট ২৬৮২টি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রয়োজন প্রায় এক লক্ষ পরিদর্শক। বিপুল সংখ্যক শিক্ষক যদি ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকেন, তবে পরীক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বড়সড় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
সেই আশঙ্কা থেকেই ভেন্যু সুপারভাইজার, ইনচার্জ ও পরিদর্শকদের ভোটের ডিউটি থেকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর এই আক্রমণ কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতকে এক নতুন মাত্রা দিল। পর্ষদের চিঠির প্রেক্ষিতে কমিশন শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ করে, এখন সেটাই দেখার। মাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষার নির্ঘণ্ট মাথায় রেখে শিক্ষকদের ছুটি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। শিক্ষা দফতরের দাবি, প্রশাসনিক সৌজন্য মেনেই রাজ্যকে জানিয়ে এই নিয়োগ করা উচিত ছিল।













