ছমাস পর শনিবার বীরভূমে ফিরেছেন পাইকরের সোনালী বিবি। রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এদিন তাঁর সাথে দেখা করলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল। স্বাস্থ্যের খবর নেওয়ার পাশাপাশি দু-লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা সোনালীর পরিবারকে করেন। বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য দিল্লি থেকে আটক করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল বিজেপির পুলিশ। আইনি লড়াইয়ের পর বীরভূম ফিরেছে সোনালী বিবি।
রামপুরহাট গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর সাথে দেখা করলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। স্বাস্থ্যের খবর নেওয়ার পাশাপাশি সোনালীকে দু লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করলো কাজল। রুটি রুজির তাগিদে দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন বীরভূমের সোনালী বিবি সহ অনেকেই। শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য সোনালী বিবিসহ ৬ জনকে আটক করে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়। আইনি লড়াইয়ে নামে তৃণমূল।
মামলা গড়াই দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট ও বাংলাদেশের একটি আদালতের নির্দেশে গত শনিবার বীরভূমে ফিরেছেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালী বিবি ও তাঁর নাবালক সন্তান। সোনালী বিবি এখন বীরভূমের রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। এদিন সোনালীকে দেখতে রামপুরহাট হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। স্বাস্থ্যের খবর নেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা করেছে কাজল। কাজল শেখ বলেন, ‘বাংলা ভাষায় কথা বলা এবং বাঙালি বলে অন্যায় ভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দিল্লি থেকে আটক করে সোনালী সহ ৬ জনকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করে আইনের পথে সোনালী বিবিকে বীরভূমে ফিরিয়ে এনেছেন। আমরা সর্বতোভাবে সোনালী বিবি ও তাঁর পরিবারের পাশে আছি। এদিন তাঁর স্বাস্থ্যের খবর নিলাম। পাশাপাশি আমার দাদার নামে স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন তরফ থেকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলাম। একটা বিষয় ভাবলেই লজ্জা লাগছে। আমরা বাঙালি বলে আমাদের এভাবে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী তকমা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। কল্পনাও করতে পারা যাচ্ছে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আগামী ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে এর জবাব মানুষ দেবে’।














