মেদিনীপুরের জুনিয়র ডাক্তারদের উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নেওয়া হল। সোমবার কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়াম থেকে এই ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররাও একদিন সিনিয়র হবেন। তাঁদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমি জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশন তুলে নিচ্ছি। রিঙ্গার্স ল্যাকটেট বিতর্ক ও প্রসূতি মৃত্যুর আবহে স্বাস্থ্য ভবন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৭ জন জুনিয়র ডাক্তার-সহ ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছিল। যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল, তাঁদের কোনও দোষ নেই। কারণ, সিনিয়রদের নির্দেশ মতোই কাজ করেন তাঁরা। তাঁরা প্রথম থেকেই দাবি করেন, আরএমও-র উপস্থিতিতে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। তাই তাঁদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই সাসপেনশন তুলে নেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ প্রসূতির সিজ়ার করা হয়। মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয় ১০ জানুয়ারি। এই ঘটনায় সাসপেনশনে থাকা জুনিয়রদের মধ্যে শ্বেতা সিং, পূজা সাহা, সুশান্ত মন্ডল, মৌমিতা মণ্ডল ও ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু সকলেই প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের পিজিটি। জাগৃতি ঘোষ ও মণীশ কুমার অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের পিজিটি। সাসপেনশন ওঠায় খুশি তাঁরা। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মেদিনীপুরে যে কেসটা হয়েছিল, নিশ্চয়ই গাফিলতি ছিল। সেটার তদন্ত হচ্ছে। রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আমি কিছু বলব না। জুনিয়র ডাক্তারদের কয়েক জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাঁদেরও রিপোর্ট নিয়েছে পুলিশ। এটা হয়ত ঠিক, তাঁরা এখনও পাকাপোক্ত হননি। তাঁদের উপর ছেড়ে দিয়ে যাওয়াও ঠিক হয়নি। এক তরফা ভাবে তাঁরাও সাসপেন্ড হয়েছিলেন। এর পরই সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন তিনি।