স্থানীয় একটি জলাশয় থেকে এক ব্যক্তির মৃতদের উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার অন্তর্গত মুকুন্দপুর এলাকায়। মৃতের নাম সাহাউদ্দিন মল্লিক (৪৫)। বাড়ি মুকুন্দপুর এলাকায়। সাহাউদ্দিন পেশায় ফেরিওয়ালা ছিলেন। মূলত পুরনো জিনিস কলকাতায় এবং পাড়ায় কেনাবেচা করতেন। এদিন দুপুরে স্থানীয় বেশ কয়েকজন স্থানীয় একটি জলাশয়ে মৃতদেহ দেখতে পান। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের তীর শাহরুল মোল্লা নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনার পর থেকে পলাতক শাহারুল মোল্লা ও তার পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ব্যবসায়িক কোনো শত্রুতা জেরেই এই খুন। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার পুলিশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুপুরে যখন স্থানীয়রা মাঠে কাজ করতে যাচ্ছিল, সেই সময় জলাশয়ে এক ব্যক্তির মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। এরপর তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় মগরাহাট থানাতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মগরাহাট থানার পুলিশ। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, ওনাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহারুল মোল্লা কয়েকদিন আগে একটি পুরনো জিনিস বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে সাহাউদ্দিন মল্লিককে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল। এ বিষয়ে মৃতের স্ত্রী নাজমা মল্লিক জানান, কয়েকদিন আগে তার দোকানে একটি জিনিস চুরি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাহারুল মোল্লা আমার স্বামীকে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এরপর আজকে এই ঘটনা। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এই বিষয় মগরাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক পীযুষকান্তি মন্ডল জানান, মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পরিবারের লোকজন যে ব্যক্তির নামে অভিযোগ করছেন সেই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যায় এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।