কৃষিকাজের সুবিধার্থে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এগ্রিকালচার ড্রোন সহ একাধিক আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে কৃষি কাজ করতে বসিরহাটের সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের কৃষকদের উৎসাহীত করতে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন হলো সুন্দরবনে। রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় বসিরহাটের সুন্দরবনের হাড়োয়া ব্লকে প্রথমবার এগ্রিকালচারাল ড্রোন টেকনোলজি আত্মপ্রকাশ করলো। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই জমিতে পছন্দমতো উচ্চতা থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে জলসেচ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ঔষধি ও অনুখাদ্য ইত্যাদি প্রয়োগ করা যাবে। যার ফলস্বরূপ কমবে চাষের খরচ এবং কৃষি শ্রমিকের চাহিদা। কৃষিকার্য হবে পরিবেশবান্ধব, উচ্চ-ফলনশীল ও সার্বিকভাবে লাভজনক। সরকারি ভর্তূকিতে মেলা কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যাঙ্কে ড্রোন ছাড়াও থাকছে ট্রাক্টর-ট্রলি, শক্তিচালিত চ্যাফ কাটার এবং পালভারাইজারের মতো বৈচিত্র্যময় কৃষি যন্ত্রের সমাহার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হাড়োয়া ব্লকে আরো দুটি সরকার স্বীকৃত কৃষক সংস্থা এরকম যন্ত্রপাতি ভাড়া কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। সেখানে ট্রাক্টর, মিনি রাইস মিল ও রোটাভেটর প্রভৃতি যন্ত্রপাতি উপলব্ধ আছে।
এতে যেমন স্থানীয় কৃষকরা নিজের জমিতে চাষের জন্য সুলভ মূল্যে প্ৰয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ভাড়ায় নিয়ে ব্যবহার করতে পারবে, তেমনই সংশ্লিষ্ট কৃষক উৎপাদন গোষ্ঠীও অর্থনৈতিক ভাবে লাভের মুখ দেখবে। এদিন সেরকমই অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী ও কৃষকদের সেই যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে বোঝাতে এক বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয় হাড়োয়ার বাসাবাটিতে। কিষান ও খেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল হাড়োয়ার বাসাবাটি গ্রামে। সেই মঞ্চকেই বেছে নেওয়া হয় এই প্রদর্শনীর জন্য। বসিরহাটের বিভিন্ন ব্লক থেকে মোট ৩৩০০ প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নেন। এদিন এই সম্মেলনে উপস্থিত প্রচুর কৃষকদের হাতে বীজ ধান এবং কৃষির সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়। কৃষকরা তাদের জমির উৎপাদিত আনাজের প্রদর্শনীরও আয়োজন করেন।
জৈব সার ব্যবহারে চাষিদের আরও বেশিমাত্রায় উৎসাহিত করা হয় সম্মেলনের মঞ্চ থেকে। এদিন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু, তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার কৃষক ও খেতমজুর কমিটির সভাপতি তরিকুল আলম বাপি ও তৃণমূলের হাড়োয়া ১ নং ব্লক সভাপতি সফিক আহমেদ সহ বসিরহাটের একাধিক বিধায়ক ও আইএনটিটিইউসি নেতৃত্বরা। তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার কৃষক ও খেতমজুর কমিটির সভাপতি তরিকুল আলম বাপি বলেন, এই ধরনের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে বসিরহাটের সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের কয়েক লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন। পাশাপাশি বহু মূল্যের এই যন্ত্রপাতিগুলি কিনতে রাজ্য সরকারের তরফে ভর্তূকির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার ফলে কৃষির জগতে এক নতুন আলোর দিশা দেখছেন বসিরহাটের চাষীরা।