দোলযাত্রা ও হোলি উৎসবের আগে আবগারি দপ্তরের বিশেষ অভিযানে হাওড়া থেকে উদ্ধার হলো ফেক লিকার। এর পাশাপাশি হাওড়ার সাঁকরাইলে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। দুটি ঘটনায় গ্রেফতার মোট ৩ জন। আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি হলুদ ট্যাক্সিতে তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ফেক লিকার উদ্ধার করেন। হাওড়ার দাসনগর এক্সাইজ সার্কেল ও হাওড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল সার্কেল এক্সাইজ ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যোগে ওই অভিযান চালানো হয়। সূত্র মারফত খবর আসে একটি হলুদ ট্যাক্সি করে বিপুল পরিমাণ ফেক মদ পাচার করা হচ্ছে।
দপ্তরের আধিকারিকরা গাড়িটি চিহ্নিত করেন। হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ট্যাক্সিটি আটকানো হয়। ট্যাক্সি থেকে বিপুল পরিমাণ ফেক মদ যার গায়ে বিভিন্ন নামি দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগানো ছিল। এগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর স্যাম্পেল কালেক্ট করে ল্যাবে পাঠানো হবে ও টেস্টিং করা হবে। আবগারি দপ্তরের হাওড়া রেঞ্জের অফিসার এম এন খান বলেন, আমরা সোর্স রেখেছিলাম। রাজ্যের সব জেলা নিয়ে মিটিং করে আমাদের একটা কো-অর্ডিনেশন তৈরি করেছি। যেখানে সম্ভবনা থাকে সেখানে আমরা ওয়াক আউট করছি। চেষ্টা করছি যাতে অবৈধ বেআইনি মদ যেন না থাকে। এটাকে শেষ করার অভিযান আমরা চালিয়েছি। যতটা সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি। আমরা সবসময় অভিযান চালাই। আমরা যখনই খবর পাই তখনই এটা বন্ধ করতে চেষ্টা করি।
এই অভিযান আমরা চালু রেখেছি। যা উদ্ধার হয়েছে তার সবটাই ফেক ওভারসিয়েজ লিকার (ওএস)। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ট্যাক্সি চালক ও অন্য এক ব্যক্তি যিনি ওই ট্যাক্সিতে ছিলেন। অন্যদিকে, অপর একটি ঘটনায় হাওড়ার সাঁকরাইলের মহিয়াড়ি খটিরবাজার এলাকার এক ঔষধ ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাট ও গোডাউনে হানা দিয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার করেন।
ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদি হাসান খান বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি কয়েকজন আধিকারিক এখানে রয়েছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসা করলে জানান এখান থেকে ওষুধ পাওয়া গিয়েছে। যার বাড়িতে রেইড হয় তিনি ওষুধ ব্যবসায়ী। উনি এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে এখানে রয়েছেন। এখান থেকে অনেক নিষিদ্ধ সিরাপ পাওয়া গিয়েছে বলে শুনেছি। শনিবার ধৃতকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। আদালতে ১০ দিনের হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হেফাজত নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।