খোল-করতাল নিয়ে নগর কীর্তন বালির বিধায়কের, বসন্ত উৎসবে দিলেন সম্প্রীতির বার্তা। মঙ্গলবার সকালে এমনই রঙিন বসন্ত উৎসব চাক্ষুষ করলেন এলাকার মানুষজন। এদিন বেলুড় মঠের কাছে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে আবির ও মাল্যদান করে প্রাক্তন কাউন্সিলর পল্টু বণিকের উদ্যোগে আয়োজিত এই বসন্তোৎসবের সূচনা হয়। এরপর প্রায় দেড় কিমি রাস্তা পরিক্রমা করে বেলুড়ের রঙ্গোলি মল পর্যন্ত পথচলতি মানুষের সঙ্গে বেলুড়ের রাজপথে বসন্তোৎসবে মেতে ওঠেন বালির চিকিৎসক বিধায়ক ডা: রানা চ্যাটার্জি।
এলাকার বাসিন্দারাও এদিন পরস্পরকে আবিরে রাঙিয়ে দেন। বিধায়ক নিজেও এলাকাবাসীদের আবিরে রাঙিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে পারষ্পরিক সৌজন্য ও সৌহার্দ্য বিনিময় করেন। এই কর্মসূচি সম্পর্কে ডা: রানা চ্যাটার্জি বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের পায়ে আবির দিয়ে আমরা এই পুণ্যভূমি থেকে এদিন যাত্রা শুরু করি। এলাকার মানুষের সঙ্গে আমরা সৌহার্দ্য বিনিময় করলাম। দলের সকল ভাই-বোনদের সঙ্গে ভক্তিগীতি এবং কীর্তন গায়কদের সঙ্গে আমরা এই দিনটি পালন করলাম।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেইজন্য দশটার পর আমাদের কার্যক্রম রাখা হয়েছিল। এই পরীক্ষার জন্য আমাদের এই উৎসব ছোট করে পালন করা হচ্ছে। সকল বর্ণ-ধর্মের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ এক হয়ে থাকুক, সকলের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় থাকুক এটাই আমরা বার্তা দিতে চেয়েছি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেক জনপ্রতিনিধি ৩৬৫ দিন জনসংযোগ করে থাকেন। আমরা যেমন মানুষের প্রয়োজনেও মানুষের পাশে দাঁড়াই, আবার মানুষকে সঙ্গে নিয়েও উৎসব পালন করে থাকি। তবে এটাও একটি জনসংযোগ।