কন্নড় চলচ্চিত্র জগতের পরিচিত মুখ রান্যা রাও সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৪.২ কেজি সোনা-সহ গ্রেফতার হন। সোনা পাচারচক্রের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রান্যা দাবি করেছিলেন, এটি ছিল তাঁর প্রথম সোনা পাচারের চেষ্টা। তবে, নতুন তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, অতীতে দু’বার দুবাই থেকে সোনা এনেছিলেন তিনি।
গ্রেফতারির পর রান্যা জানিয়েছেন, তিনি ইউটিউব ভিডিও দেখে সোনা পাচারের কৌশল শিখেছেন। দুবাই বিমানবন্দরে পৌঁছে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়া সোনা শরীরে বেঁধে নিয়ে আসেন। এমনকি জুতোর মধ্যে সোনা লুকিয়ে রেখেছিলেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রান্যা রাও একটি বৃহৎ সোনা পাচার সিন্ডিকেটের সদস্য। গোয়েন্দাদের কাছে তাঁর বয়ান অনুযায়ী, তিনি দুবাই বিমানবন্দরে একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন পান, যেখানে তাঁকে সোনা সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে, ফোন করার ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন।
এদিকে, রান্যার সৎ বাবা এবং কর্ণাটক পুলিশের ডিজি কেআরামচন্দ্র রাওয়ের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত চলছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রান্যা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রটোকল অফিসার তাঁকে নিরাপদে বের করে আনতে সহায়তা করতেন। কর্ণাটক সরকার এই মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল, তবে পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। এখন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব গৌরব গুপ্ত রান্যার বাবার ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করছেন।