পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের দেনানে রূপনারায়ণ নদীবাঁধ সংলগ্ন চর দখল করে দেনানের কয়েকজন ব্যক্তি রবীন্দ্র-নজরুল ভবনের নামে বেআইনি নির্মাণকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল(সোমবার) সেচ দপ্তরের দেনান সেকসানের সেকশনাল অফিসার ওই ভবনের সভাপতির নামে এক নোটিশ জারি করে, সাত দিনের মধ্যে বেআইনি ওই কাঠামো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করারও কথা বলা হয়েছে ওই নোটিশে। ইতিমধ্যে ওই নোটিশ পেয়ে অভিযুক্তরা নতুন করে কাঠামো তৈরি করা বন্ধ করলেও পুরনো কাঠামো এখনো ভেঙে নেননি।
অন্যদিকে সোমবার এলাকার বাসিন্দারা একটি গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি জেলাশাসক দপ্তরেও জমা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে ১৭ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক, তমলুকের মহকুমা শাসক, কোলাঘাট ব্লকের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, ইরিগেশন এসডিও কে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক মঙ্গলবার দেনান এলাকা পরিদর্শন করার পর বলেন, প্রায় প্রতিবছর কোলাঘাটের নদীবাঁধে ধ্বস নামা ও বর্ষার সময় জলস্ফীতির কারণে এলাকার মানুষজন আতঙ্কে দিন গুজরান করেন।
সেই নদীবাঁধ সংলগ্ন চরে কয়েক বছর আগে ওই গ্রামেরই কয়েকজন রবীন্দ্র-নজরুল ভবনের নামে বেআইনী একটি কাঠামো নির্মাণ শুরু করেছিল। সেচ দপ্তর সেই সময় এলাকার মানুষজনদের অভিযোগ পেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সেই কাঠামো নির্মান বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ১১ মার্চ রাতে লাইট জ্বেলে ওই ব্যক্তিরা ঐ স্থানে ফের নির্মান কার্য শুরু করে। এরই প্রতিবাদে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা দেনান দুর্গামন্ডপ থেকে দেনান পিএনবি ব্যাঙ্ক পর্যন্ত অংশে বেআইনী নির্মাণ বন্ধ ও যে নির্মাণ রয়েছে, তা উচ্ছেদের দাবীতে মিছিল সংগঠিত করে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে অবিলম্বে ওই নির্মাণকার্য ভেঙে দিক।