হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন না থাকার কারণে হাসপাতালে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিনের দাবিতে বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ। মূলত কুকুর কিংবা বিড়ালে কামড়ালে এন্টি রেবিস ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হয়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে এন্টি রেবিস ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। এরফলে হাসপাতালে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালে ভ্যাকসিন পরিষেবা না থাকার কারণে ক্ষোভে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
হাসপাতালের অচল পরিষেবার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিজেপির কর্মী সমর্থকদের, পাশাপাশি অনিয়মিত হাসপাতাল সুপার। মঙ্গলবার দুপুরে যাদবপুর বিজেপির সংগঠনিক জেলা এবং জয়নগর বিজেপি সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে কয়েকশো বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে জরুরী বিভাগের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। বিজেপি নেতৃত্বদের দাবি, অবিলম্বে হাসপাতালে যে অচল পরিসেবা সেই পরিষেবার সচল করতে হবে। এ বিষয়ে বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সভাপতি মলয় চ্যাটার্জী বলেন, প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষ কুকুর, বিড়ালে কামড়ে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। কুকুর কিংবা বিড়াল কামড়ালে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে এন্টি রেবিস ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হয়, সেই ভ্যাকসিন বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নেই।
এরফলে প্রতিদিন রোগীরা ফিরে যাচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তোলে যাদবপুর বিজেপির সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি। অবিলম্বে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে যে সকল জরুরী ভিত্তিক চিকিৎসা পরিষেবা প্রয়োজন রয়েছে, সেই পরিষেবাগুলি সচল না করলে আগামী দিনে বৃহত্তম আন্দোলনে নামারা হুঁশিয়ারি দেন তারা। যদিও বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টি রেবিস ভ্যাকসিন নেই এ কথা স্বীকার করেন বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার ধীরাজ রায়।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন হয়েছে এন্টি রেবিস ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কে গোটা বিষয় জানানো হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিন হাসপাতালে পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য উত্তম কর বলেন, বারুইপুর মহকুমার হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নেই পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন, এর ফলে রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে না। প্রতিবছর কুকুর বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বহু মানুষের। অবিলম্বে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে।