হুগলি জেলার গ্ৰামীণ পুলিশের পক্ষ থেকে এবং আরামবাগ পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে চালু করা হলো ই-জিডিই পরিষেবা। এখন থেকে থানায় না এসেও ই-জিডিই-র মাধ্যমে অভিযোগ নথিভূক্ত করতে পারিবেন। জিডি(জেনারেল ডায়রি) মাধ্যমে এন্ত্রি(নথিভুক্ত) নাম্বার পাওয়া যাবে। শুক্রবার সকালে সাইবার সচেতনতামূলক একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। পদযাত্রাটি আরামবাগ থানা থেকে বেরিয়ে শহর পরিক্রমা করে। ছিলেন আরামবাগ এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, থানার আইসি সহ পুলিশ কর্মীরা ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা। পদযাত্রা চলাকালীন মাইকিং প্রচার করে সাইবার প্রতারণার হাত থেকে কিভাবে সচেতন হতে হবে তার কথাও বলতে শোনা যায়।
এই পদযাত্রার উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল ই-জিডিই’র মাধ্যমে বাড়িতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সেই অভিযোগ জানানোর সাথে সাথে তদন্ত শুরু করবে পুলিশ। পাশাপাশি এদিন সাইবার প্রতারিত এক মহিলা মামনি বেগমের হাতে উদ্ধার করা টাকা তুলে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। জানা গেছে ২০২৪ সালে বাড়ি তৈরির জন্য ফোনের মাধ্যমে টাকা চাওয়া হয়েছিল। এবং পরে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর আরামবাগ থানার সাইবার হেল্পলাইনের অভিযোগ জানায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মামনি বেগমের ১৩ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী এবং থানার আইসি রাকেশ সিং-এর উপস্থিতিতে।
সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানান, যারা দূরে থাকে, সব সময় আসতে পারে না কমপ্লেন লঞ্চ করতে। তাদের সুবিধার্থে আমরা অভিনব প্রকল্প ই-জিডিই শুরু করেছি। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে জিডি ফাইল করা যাবে, যা যা জিডি-তে হয়। যে কারণে সাধারণ মানুষ জিডি করতে আসেন। আরামবাগ থানার পক্ষ থেকে সাইবার হেল্প এবং আরামবাগ থানার আইসি’র তরফ থেকে কিউ আর কোড দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ লিঙ্কটি কপি করে পেস্ট করতে পারে। এই কিউ আর কোডটি যদি স্কেন করে নেয় তাহলেই হবে। সমস্ত মানুষের অসুবিধা কথা মাথায় রেখে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিকূলতায় বিভিন্ন কারণে অনেকেই থানাতে আসতে পারে না। তারা কয়েকটি সহজ পদ্ধতিতে ই-জিডিই মাধ্যমে নিজেদের অভিযোগ থানায় জমা করতে পারবেন।