দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত খড়্গপুর-আদ্রা ডিভিশনের শালবনির মুন্ডলকুপি কলতলা এলাকার রেলগেট। গ্রামবাসীদের যাতায়াতের সড়ক পথের এই একটি মাধ্যম। তবে রেল কর্তৃপক্ষ সেটিকে আন্ডার বাইপাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কয়েক বছর আগে। তবে তা সেই স্থানে না হয়ে শালবনিতে করা হয়েছে আন্ডার বাইপাস। তারপরেই রেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় ওই রেলগেটটি তুলে দেওয়া হবে। এরফলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, কাউকে কিছু না জানিয়েই রেল কর্তৃপক্ষ রাতের অন্ধকারে এই রেলগেটটি তুলে দিতে চাইছে। রেল গেট তুলে দিলে কিভাবে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করবে।
এই প্রশ্ন নিয়েই আধিকারিকদের কাছে গেলে তারা কার্যত মুখে কুলুপ আঁটে। রেল গেট তুলতে আসা রেলকর্মী ও আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়ায় গ্রামবাসীরা। তারা খোল কীর্তন সহযোগে রেল অধিকারীদের কাছে ওই গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ, তবে ট্রেনকে তারা আটকায়নি, যাত্রী জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে। তাদের দাবি, রেলগেট রাখতে হবে নতুবা আন্ডার পাস তৈরি করে দিতে হবে। না হলে এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে পারবে না। শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে শালবনির মন্ডলকুপি কলতলা এলাকায় থাকা রেলগেট বন্ধ করতে আসা রেলের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বাসিন্দারা।
শুক্রবার বেলা প্রায় দুটো নাগাদ গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের ফলে পিছু হঠতে বাধ্য হয় রেল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবারও ওই রেল গেট বন্ধ করতে পারল না রেলের আধিকারিক ও কর্মীরা। শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সৌমেন ঘোষ বলেন, গত রবিবার রেল একইভাবে মন্ডলকুপি কলতলা এলাকায় থাকা রেলগেটটি বন্ধ করার জন্য এসেছিল। গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করেছিলেন।
পিছে হঠতে বাধ্য হয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। ফের শুক্রবার একইভাবে রেলের আধিকারিকরা, রেল কর্মী ও রেল পুলিশদের নিয়ে এসে মন্ডলকুপি কলতলা এলাকায় থাকা রেলগেট টি বন্ধ করার জন্য এসেছিল। কিন্তু, গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে শুক্রবারও খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে রেলের আধিকারিকদের। তিনি আরো বলেন, আন্ডার পাস তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ওই রেলগেট বন্ধ করা যাবে না। রেল কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো সত্বেও স্থানীয় বাসিন্দাদের কথাকে তারা কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই মানুষের ক্ষোভ রেলের বিরুদ্ধে ক্রমশ বেড়েই চলেছে।