আসানসোল শহরে বেআইনী নির্মাণ নিয়ে আবারও সরব হলো বিরোধী দল বিজেপি। এর পাল্টা জবাব দিয়ে পদ্ম শিবিরকে আক্রমণ করেছে শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস। বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের আসানসোল পুরনিগম ও তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করে বলেন, বিজেপি বারবার বলে আসছে যে আসানসোল শহরে অবৈধ নির্মাণ চলছে। আসানসোল পুরনিগমের মেয়র থেকে শুরু করে বোরো চেয়ারম্যান সহ প্রতিটি স্তরের নেতারা এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। বিজেপি আসানসোল এবং আশেপাশের এলাকায় অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। কিন্তু এর কোনও ফল হয়নি। এখন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আসানসোলের হটন রোডেও প্রকাশ্যে অবৈধ নির্মাণ চলছে। এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে একজন ব্যক্তিকে বলতে দেখা যাচ্ছে যে তিনি একজন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার নির্দেশে এই অবৈধ নির্মাণ করেছেন।
তিনি বলেন, হটন রোডের একটা অংশে রাস্তার দুপাশে অবৈধভাবে দোকানপাট এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে জিটি রোড থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতাল পর্যন্ত যাওয়ার প্রধান পথটি বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, হটন রোডের অবস্থা আসানসোলের মেয়র বা মন্ত্রীর চোখে পড়ছে না? তাহলে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি আক্রমণ করে বলেন, তৃণমূল নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আসানসোল পুরনিগম এলাকায় যেভাবে অবৈধ নির্মাণকাজ চলছে, তারই ফলস্বরূপ এখন রাস্তা ও ফুটপাত বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, আসানসোলের মানুষ তৃণমূলের এই প্রশাসনের উপর বিরক্ত হয়ে গেছেন। ২০২৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্যই এর ফল পাবে ও পরাজিত হবে।
এদিকে, বিজেপি নেতার এই অভিযোগ ও আক্রমনের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক। তিনি বলেন, আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ যে বেআইনি বা অবৈধ নির্মাণ বরদাস্ত করবে না, তার প্রমাণ আসানসোলের মানুষ দুদিন আগেই দেখতে পেয়েছেন। পলাশডিহাতে একটি পুকুর ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। হটন রোডের ঐ অবৈধ নির্মাণের কথা পুর কতৃপক্ষ জানে। দ্রুত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিজিতবাবু আরো বলেন, ঐ বিজেপি নেতা কি জানেন, তার দলের একাধিক অফিস রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছে। কোন কোন অফিস তো আবার সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেগুলো তিনি কি ভাঙার কথা বলবেন? আসানসোলের মানুষেরা তার জবাবের অপেক্ষায় আছেন। অভিজিৎ ঘটক বলেন, আসল কথা হলো, সামনে ভোট তো। তাই বিজেপি নেতারা এইসব বলে, সাধারণ মানুষের আসল সমস্যা ও দাবিকে ধামাচাপা দিতে চাইছে।