পড়ন্ত বসন্তের তপ্ত বেলায় আগুন ঝরাচ্ছে প্রকৃতি। গরমের এই দারুন অগ্নিবানের হাত থেকে একটু স্বস্তি পেতে রাজ্যের বহু মানুষ মাটির জালা ও কুঁজো ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। তীব্র গরমে প্লাস্টিকের বোতল ও কুঁজোকে দূরে সরিয়ে বাজার দখল করছে মাটির জালা থেকে শুরু করে মাটির তৈরি কুঁজো, বোতল। এছাড়াও প্রচলন শুরু হয়েছে মাটির থালা, গ্লাস, বাটি এমনকি কেটলিরও।
বাগনান-শ্যামপুর রোডের পাশে বাগনানের আন্টিলা ব্রিজের ধারে গেলেই দেখা যাবে বেশ কয়েকটি দোকান মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছে। তার মধ্যে বিশেষ করে নজরে পড়বে নক্সা করা গুজরাটি ও টেরাকোটার অলংকরণ সমৃদ্ধ কৃষ্ণনগরের জালা। এইসব জালায় কল সংযুক্ত রয়েছে।
সৌমেন পাল নামের এক বিক্রেতা জানান, এই ধরনের জালা, কুঁজো ও অন্যান্য মাটির দ্রব্যের চাহিদা এখন সব থেকে বেশি। তিনি জানান, প্লাস্টিক বোতলের পরিবর্তে মাটির পাত্রের জল স্বাস্থ্যসম্মত। চিকিৎসকরা এখন প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার এবং রেফ্রিজারেটরের ঠান্ডা জল পানের কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি মাটির তৈরি জিনিস ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন। সেইমতো মানুষও আগের থেকে মাটির দ্রব্য কেনায় অনেক বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সুকান্ত পাল নামের আরও এক বিক্রেতা মাটির তৈরির দ্রব্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। লালু কড়ে নামের এক ক্রেতা বলেন, মাটির পাত্রের জল শুধু ঠান্ডাই নয়, এই জল পান করলে শরীর সুস্থ থাকে। আর সেই বিষয়টি বুঝতে পেরেই মানুষ এখন প্লাস্টিকের দ্রব্যের পরিবর্তে মাটির দ্রব্য ব্যবহারের দিকে বেশি ঝুঁকছেন।