যারা বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে অত্যাচার করেছিল তারাই এপারে এসে মোথাবাড়িতে অশান্তি করেছে। এদের মদত দিচ্ছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদায় দিলীপ ঘোষ আসার পর শুক্রবার বেলা একটা নাগাদ যোগ দেন ডিএম অফিসের ঘেরাও কর্মসূচিতে। আর সেখানেই এমন বক্তব্য রাখেন রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদায় আসেন দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার বেলা একটা নাগাদ যোগ দেন ডিএম অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে। মোথাবাড়ির ঘটনা এবং যোগ্যদের চাকরি বাতিল নিয়ে মূলত বিজেপির এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। এদিন মালদা টাউন হলের সামনে থেকে শুরু হয় বিজেপির মিছিল।
দিলীপের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী, পুরাতন মালদার বিধায়ক গোপাল সাহা প্রমুখ। চাকরি বাতিল নিয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। তৃণমূল যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করলে যারা টাকা দিয়েছে, তারা কালীঘাট ঘেরাও করবে। গৌড়বঙ্গে তৃণমূলের এক সংখ্যালঘু নেতা এই চাকরির নামে অনেক টাকা তুলেছেন। চাকরিহারারা তাঁদের ছেড়ে কথা বলবে না। সেই দিন বেশি দূরে নেই।
তবে এদিন জেলা শাসকের দপ্তরে জেলাশাসক না থাকায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, জেলাশাসক নেই তাই দেখা করতে পারলাম না। কিন্তু মালদায় হিন্দুরা আক্রান্ত। সেটা নিয়ে প্রতিবাদের দরকার ছিল। আমরা করেছি। তবে রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপির এই মুহূর্তের সব থেকে বড় হাতিয়ার হিসেবে যে ব্যবহার করছে হিন্দুত্ব, তা দিলীপবাবুর কথায় কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেছে।