ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির তরফে আদালতে পেশ করা চার্জশিটে রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর নাম উল্লেখ রয়েছে। এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গোটা দেশজুড়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। একইভাবে আসানসোলের কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোলের জিটি রোডের হটন রোড মোড় এলাকায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী। ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিটে রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর নাম অন্তর্ভুক্ত করাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করা হয়। এদিন কংগ্রেসের বিক্ষোভ সামাল দিতে হটন রোড মোড় সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিলো। বিক্ষোভ চলাকালে কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা জিটি রোডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। সেই সময় রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দেওয়া হয়।
তখন আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জোর করে কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। যা নিয়ে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা প্রসেনঞ্জিৎ পুইতুন্ডি বলেন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ন্যাশনাল হেরাল্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটা একটা রসিকতা যে এখন রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে এর মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ আনা হচ্ছে। অথচ যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে ন্যাশনাল হেরাল্ডের মাধ্যমে যে সংস্থাটি নেওয়া হয়েছে তা একটি অলাভজনক সংস্থা এবং এটি বিক্রি করা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে, অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের কথা কোথা থেকে আসছে?
তিনি বলেন, আজ যখন এই ইস্যুতে হটন রোড মোডে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হচ্ছিল, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কংগ্রেস কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করে এবং তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। তিনি আরো বলেন, এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কোথাও না কোথাও অভ্যন্তরীণ যোগসাজশ রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস চায় না যে তারা ছাড়া অন্য কোনও দল বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুক। কিন্তু এটি ঘটবে না। কংগ্রেস ব্রিটিশদের কাছ থেকে পরাজয় মেনে নেয়নি। তাই বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে পরাজয় মেনে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এদিনের আন্দোলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন শাহ আলম, মহঃ শাকির, সুকান্ত দাস, প্রেমনারায়ণ সিং, পরিতোষ বাউরি ও বিশ্বনাথ বাউরি।