অন্ধকারের কেটে আলোর দেখা মিলবে, আশাবাদী রাজ্যপাল। তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, রাজ্য পুলিশ ও আধাসেনা মোতায়েনের পর মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সঙ্গে স্থানীয়দের দাবি দাওয়া নির্দিষ্ট জায়গায় জানাবেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। মুর্শিদাবাদ উত্তাল হওয়ার পর শুক্রবার ও শনিবার ‘দুর্গত’দের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ ছেড়ে মালদহে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। আজ শনিবার যান মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদ, বেতোয়ান ও ধুলিয়ানে। জাফরাবাদে খুন হওয়া হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে যান। কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে। সেখানে বিএএসএফ ক্যাম্পের দাবি তোলেন বাসিন্দা। সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যপাল বলেন, “স্থানীয়রা বেশ কয়েকটি দাবি রয়েছে। তাঁরা জাস্টিস চান। শান্তিতে থাকতে চান।
সঙ্গে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প তৈরির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সঠিক জায়গায় বিষয়টি জানাব। আমি আশাবাদী অন্ধকার কেটে আলোর দেখা মিলবে। একজন রাজ্যপাল হিসাবে আমার যা করণীয় আমি করছি, করব। এটাই আমার কর্তব্য। আমি বাংলার মানুষের সঙ্গে আছি।” তিনি আরও জানান, তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছেন তাঁরা কী চান, তাঁদের কী প্রয়োজন। সাংবাদিকদের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় এলাকার পরিস্থিতি কেমন? রাজ্যরপাল বলেন, “আধাসেনা ও পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করার পর পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অনেক উদ্বেগের বিষয়ও আছে। মানুষের কিছু সমস্যা আছে।” সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, এটা কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির সময় নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাই উদ্দেশ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ ‘উড়িয়ে’ মুর্শিদাবাদ যান রাজ্যপাল। বেতোয়ানে স্থানীয়দের বিক্ষোভে আটকে যায় তাঁর কনভয়।