দিন দুয়েক আগেই ভারতের সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বড় বড় কথা শোনা গিয়েছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকারের মুখে। কিন্তু ‘বদলে’র বাংলাদেশে লাগাতার নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এখনও জেলবন্দি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু। ভাঙা হচ্ছে একের পর এক মন্দির। এবার প্রকাশ্যে এল এই খুনের ঘটনা। প্রশ্ন উঠছে, এটাই ‘নতুন’ বাংলাদেশ? জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম ভবেশচন্দ্র রায়। তিনি দিনাজপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের বিরাল শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে এলাকায় খ্যাতি ছিল এই হিন্দু নেতার। পুলিশের কাছে তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৪টে নাগাদ ভবেশবাবুর কাছে একটি ফোন আসে। তিনি বাড়িতে আছে কিনা তা জানার জন্যই ফোন করেছিল দুষ্কৃতীরা। এর ঠিক ৩০ মিনিটের মধ্যে দুটি বাইকে চারজন আসে। জোর করে ভবেশবাবুকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে নরাবাড়ি গ্রামে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ভবেশবাবুকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নতুন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।