আবার আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশায় বুক বাঁধছেন জামবেদিয়া, চন্দনকাট, বাঁশকাটি, আসনাবনি সহ ১৩টি গ্রামের মানুষ। প্রতিবারে মুখ্যমন্ত্রী আসলেই কিছু ঘোষণা করেন। এবারেও তাই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। ২০০৮ সালের ২ রা নভেম্বর জিন্দাল ইস্পাত প্রকল্পের শিল্যান্যাস করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠান সেরে ফিরে যাওয়ার সময় ভাদুতলায় তাঁর কনভয়ে হামলা চালায় মাওবাদীরা। কনভয়ে থাকা একটি পুলিশ গাড়ি উল্টে যায়। ৬ জন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হন। মাওবাদীদের হুমকির জেরে থমকে যায় প্রকল্পের কাজ। এর পর ছড়িয়ে পড়ে লালগড় আন্দোলন। যা দমাতে ব্যর্থ হয় তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস।
দমন করা হয় মাওবাদীদের আন্দোলন। শান্তি ফিরে জঙ্গলমহলে। জিন্দালদের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৮০০ মেগাওয়াট করে দুটি অর্থাৎ মোট ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এটা গড়ে তোলা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টার চড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাল প্রকল্প এলাকায় আসবেন। অনুষ্ঠান সেরে বিকেলে সেখান থেকে যাবেন সড়ক পথে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে। এখানেই রাত্রিবাস করবেন। মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে প্রশাসনিক সভায় যোগ দেবেন। এখানে বহু সরকারি প্রকল্পের শিল্যান্যাস ও উদ্বোধন করবেন।
এর মধ্যে রয়েছে দিঘায় দমকল কেন্দ্রের জন্য এবং কলকাতার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত ২৫টি অগ্নি নির্বাপক গাড়ির উদ্বোধন। দমকলের বেশ কিছু আধুনিকিরন ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন। উপভোক্তাদের হাতে সরকারি পরিষেবা প্রদান করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী থেকে জেলার সাংসদ, বিধায়করা। প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে এখানে। সেই মতো ব্যবস্থা করে রাখা হচ্ছে। গরমে যাতে কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়েন এজন্য পর্যাপ্ত পানীয় জল, পাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সভা শেষে এখান থেকেই হেলিকপ্টার চড়ে কলকাতা ফিরে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে জেলা জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সভা স্থল ঘিরে রেখেছে। পুলিশ কর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী কে স্বাগত জানাতে রাস্তার দুপাশে দেওয়া হয়েছে কাট আউট ও স্বাগত তোরণ।