সম্পূর্ণ ফিল্মি কায়দায় আয়কর বিভাগের আধিকারিক সেজে পুরুলিয়ায় বিড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি। ঘটনার কিনারায় পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। একটা কমিটি গঠন করে শুরু হয়েছিল তদন্ত। ৮ এপ্রিল এই ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক সূত্র ধরে ঝাড়খন্ড ও কোটশিলায় তল্লাশি চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার বিকেলের সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুরুলিয়ার বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ির ওসি এবং আইসিদের নেতৃত্বে কয়েকটা জায়গায় রেড করে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে। ধৃতদের মধ্যে দুজন মহিলা রয়েছেন। আরেকজন আছেন যে নিজেকে সিআরপিএফ’এর জওয়ান বলে দাবি করেছেন। সেটাও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। আগামীকাল ধৃতদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় ১০ দিন আগে পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার বামনিয়া গ্রামে বিড়ি ব্যবসায়ী কিরিটি কুমারের বাড়িতে আয়কর বিভাগের আধিকারিক সেজে ডাকাতির ঘটনা ঘটায় একদল দুষ্কৃতী। ভর সন্ধ্যায় আয়কর বিভাগের আধিকারিক সেজে দুষ্কৃতি দল প্রথমেই কিরিটি বাবুর বাড়িতে ঢুকে একটা নোটিশ ধরিয়ে দেয়। গোটা বাড়িতে ভাঙচুর করে তন্ন তন্ন করে টাকা-পয়সা গয়নাগাটির খোঁজ চালায়। ভাঙচুরে বাধা দিলে, তদন্তে বাধা দিলে পরিণতি আরো খারাপ হবে পাল্টা হুমকি দেওয়া হয় দুষ্কৃতীদের তরফে। এরপরই নগদ সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ও প্রচুর সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাত দল। এখানেই শেষ নয়, বাড়ির এক সদস্যকে গ্রেফতারের নাম করে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঝাড়খণ্ডের জোনা এলাকায় ওই সদস্যকে ফেলে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। এরপরই গোটা ঘটনার কথা জানানো হয় পুলিশকে। অবশেষে সেই ঘটনারই কিনারা করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।