মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজ ও কালেজিয়েট স্কুল মাঠের প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন গোয়ালতোড় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের। পাশাপাশি মঞ্চ থেকে বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের সুবিধাও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মেদিনীপুর পৌরসভার অন্তর্গত জল শোধনাগারের উদ্বোধন করেন। ক্ষীরপাই রামজীবনপুর সড়ক পথের উদ্ধোধন করেন, কেশপুর ব্লকের খাসবাড় এলাকায় আদিবাসী বিদ্যালয় এর উদ্ধোধন করেন। কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ৫০ সজ্জা বিশিষ্ট বেড তৈরি করা হয়েছে, যার খরচ ২৩ কোটি ২৭ লক্ষ্য টাকা। আনন্দপুর গ্রামীণ হাসপাতালে কে ১০ বেডের করা হয়েছে। ২১২ প্রকল্পের শিলান্যাস ও ৩২১ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রিন এন্ড ক্লিন এনার্জিতে জোর দেওয়া হয়েছে। ২৫টি দমকল মেসিনের উদ্বোধন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সোমবার ২০০০ একর জায়গা নিয়ে শালবনিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের উদ্বোধন করেছি। মঙ্গলবার সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করলাম।
আমি যদি উন্নয়নের কথা বলি শেষ হবে না। ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কপালেশ্বরী কেলেঘাই সংস্কার করে দিয়েছি। শিল্পকে গল্পের পর্যায়ে ফেললে হবে না, ছোট ছোট স্কিল ডেভেলপমেন্টের মধ্যে দিয়েও শিল্প হয়। শালবনিতে আরও দুটো পাওয়ার প্ল্যান্ট করবে ওরা, কথা দিয়েছে। সব পাওয়ার প্লান্ট গুলো তৈরি হয়ে গেলে বাংলায় আর কোনো দিন বিদ্যুৎ-এর অকুলান হবে না। ৬টি ইকোনমিক করিডোর হচ্ছে, আপনাদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দিয়ে দুটো যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ায় জেলায় ৭২ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। ১০০০ ছোট ছোট শিল্প তৈরি হয়েছে। বাংলা এখন স্কিল ডেভেলপমেন্টে নম্বর ওয়ান, বাংলা এখন গেটওয়ে। আজকের ছাত্র ছাত্রীরা অনেক খুশি, তারা সাইকেল পায়, স্কলারশিপ পায়। কৃষকদের জন্য ফাটিলাইজার প্ল্যান্ট তৈরি করছি।
সবং-এ মাদুর তৈরির কারখানা আছে।” মঞ্চ থেকে দাসপুরে গোল্ড হাবেরও উদ্বোধন করা হয়। ঘাটালে বিরসিংহ ও বর্ণপরিচয় গেটের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বাংলার বাড়ি আমরা নিজেদের টাকায় করে দিচ্ছি। ঘাটাল, মুর্শিদাবাদ ও জলপাইগুড়িতে ক্ষতিগ্রস্তদের বাংলার বাড়িতে নাম জমা করা হয়েছে। বাংলায় কয়েকটা লোক আছে এরা শিক্ষকদের চাকরি খাচ্ছে, এরা কাজে নেই, কোর্টে আছে। আপনাদের চাকরি থাকছে, আপনারা রোদে না বসে থেকে স্কুলে যান। আমরা আবার রিভিউ করবো, নিশ্চিন্তে থাকুন। আবার এরা হাইকোর্টে প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগের নিয়ে কেস করেছে। শিক্ষকরা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করুন, বেতনের টাকা রাজ্য সরকার দেবে। যোগ্য না অযোগ্য সেটা আপনাদের দেখতে হবে না, ওটা কোর্ট দেখবে, রাজ্য সরকার দেখবে। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার চাকরি ফিরিয়ে দিতে পারে নি, আমরা দেবো। মুর্শিদাবাদে কেও বহিরাগত দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে, আমরা এদের খুঁজে বের করবো।