গত দু’দিন আগে কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয় ২৬ জন পর্যটকের। ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শোকাহত দেশের মানুষ। দেশজুড়ে চলছে মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালিয়ে পানাগড় বাজারের চৌমাথা মোড়ে ইন্দিরা গান্ধী মূর্তির সামনে মৃত পর্যটকদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পাশাপাশি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন কংগ্রেস কর্মীরা। এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কাঁকসা ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি পুরব ব্যানার্জি, কংগ্রেস নেতা ধর্মেন্দ্র শর্মা, জেলার নেতা দেবাশীষ বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। ব্লক সভাপতি এদিন মৃতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার ৫৬ ইঞ্চি ছাতি ফুলিয়ে বলতো যে দেশ নাকি সুরক্ষিত।
যদি দেশ সুরক্ষিত থাকে তাহলে পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা এসে একজন মানুষকে গুলি করে চলে গেলো। তাহলে মানুষের সুরক্ষা কোথায়। এদিন বিধানসভার বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাকিস্থানের জাতীয় পতাকা পোড়ানো কে কটাক্ষ করে বলেন উনি যা করেছেন ওটা তার মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন দেশের মানুষের সামনে। অন্যদিকে নাকি শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান দিতে গিয়ে বলেন হিন্দুস্থান মুর্দাবাদ। ওনার সম্পর্কে অযথা বলে কোনো লাভ নেই। মানুষ দেখছে উনি আসলে কি। তিনি বলেন, মৌলবাদের কোনো ধর্ম হয় না। শুভেন্দু বাবুরা বারবার হিন্দুকে মারা হয়েছে বদলা নিতে হবে, এই বলে ধর্ম টেনে নিয়ে আসছেন। এদিকে ওই দিন ঘটনার পর পর্যটকদের জন্য যিনি জীবন দিয়েছেন সেই একজন মুসলিম। আবার যিনি আহতদের পিঠে করে উদ্ধার করেন তারাও সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা ও মুসলিম।আসলে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করাটাই এদের কাজ।