কফিনবন্দি মণীশের মরদেহ ফিরলো অবশেষে পুরুলিয়ায়। ঘরের ছেলে কে শেষবার দেখার জন্য ঝালদার মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কান্নার রোল এলাকা জুড়ে। কথা মতোই মনীশরঞ্জনের কফিনবন্দি দেহ বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বিমানবন্দরে পৌঁছয়। সেখানে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি তাঁকে শেষ সম্মান জানান। সেখানেই সিআরপিএফ ক্যাম্পে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়ার পর কফিনবন্দি মৃতদেহ পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের তরফে আধিকারিকরা। এরপর ঝালদায় মণীশের মরদেহ এসে পৌঁছতেই এদিন মণীশকে একবার শেষ দেখা দেখার জন্য এলাকার মানুষরা ভিড় জমান তাঁর বাড়ির সামনে। পরিবারের সকলে ভেঙে পড়েন কান্নায়। কাশ্মীর থেকে ফিরলেন আইবি অফিসার পুরুলিয়ার মনীশরঞ্জন মিশ্র। কিন্তু মন ভালো করা ভূস্বর্গের স্মৃতি নিয়ে নয়। বরং নিথর দেহ কফিনবন্দি হয়ে। এখনো একথা কেউ মেনেই নিতে পারছেন না।
এদিন মণীশের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ পুরুলিয়া লোকসভার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাপতি নিবেদিতা মাহাতো, স্থানীয় বিধায়ক, কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো, বামফ্রন্টের তরফে উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ রায় সহ বিশিষ্টজনেরা। বৃহস্পতিবার মণীশের নিথর দেহ নিয়ে ঝালদা শহরে একটা মিছিল ও শোভাযাত্রা বের হয়। সেখান থেকে ঝালদা শ্মশানে। সেখানে তাঁকে গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শোকের আবহ ঝালদা জুড়ে।