সহকর্মীদের চোখের জলে বিদায় কনস্টেবল পদে কর্মরত নীলিমা টোপ্নো। মাত্র ৩৪ বছরে সমাপ্তি ঘটল একটি তরতাজা যুবতীর প্রাণ। মালবাজার থানার ইএস লাইনে কর্মরত ছিলেন নীলিমা। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৪ সালে কনস্টেবল পদে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন নীলিমা। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতা দানা বেঁধেছিল শরীরে। নীলিমার চোখে মুখে ছিল শারীরিক সুস্থ হয়ে আবার কর্মস্থলে ফেরার আশা। তবে সব আশাতেই জল ঢেলে জীবনের ৩৪ বছর বয়সেই অকাল প্রয়াণে ঢলে পড়ল নীলিমা। এদিন দুপুরে নীলিমার নিথর দেহ কফিনবন্দী অবস্থায় মালবাজার থানায় পৌঁছালে সহকর্মীরা তাকে পুষ্পস্তবকের মধ্য দিয়ে শেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য জানায়।
শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সহকর্মীদের চোখে তখন অবিরাম কান্না। মালবাজার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রোশন প্রদীপ দেশমুখ, থানার আইসি সৌমজিৎ মল্লিক, ট্রাফিক ওসি দেবজিৎ বোস সহ থানার অন্যান্য আধিকারিক ও সহকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত সকলে নীলিমাকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন। এরপর নীলিমার কফিনবন্দী দেহ শববাহি গাড়িতে করে চালসা রেল গেটে অবস্থিত বাবার বাড়িতে পৌঁছায়। সেখান থেকে কিছু সময় কাটিয়ে মেটেলিতে অবস্থিত তার নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। তার অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মাল মহকুমার পুলিশ মহল। প্রয়াত নীলিমার স্বামী সেনাবাহিনীতে কর্মরত। বাড়িতে তার শিশুও রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মেটেলিতে প্রয়াত নীলিমার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।