ভারতের সামরিক মহড়ায় ভয় পেয়েছে পাকিস্তান। নয়াদিল্লির কূটনৈতিক স্ট্রাইকের পর ইসলামাবাদ এই মুহূর্তে বেশ সংকটে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী শীর্ষ অফিসারদের এবং জেনারেলদের পরিবারের লোকজনকে প্রাইভেট বিমানে করে ইংল্যান্ড অথবা আমেরিকায় পাঠানো হয়েছে।কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন সন্ত্রাসবাদীদের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হবে। আর তাতেই ভীত ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের সর্বাধিক প্রচলিত দৈনিক দ্যা ডন বলছে গত বৃহস্পতিবার বেশি রাতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাগ শরীফের বাড়িতে সেনা কর্তাদের নিয়ে একটি জরুরী বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ভারত আক্রমণ করলে কিভাবে তা প্রতিনিয়ত করা হবে।পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে নিরাপত্তা কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইছাদদার বলেন কূটনৈতিক স্তর থেকে শুরু করে সামরিকভাবে ভারত যে যে পদক্ষেপ করবে তার উপযুক্ত জবাব দেবে পাকিস্তান। প্রশ্ন উঠেছে যদি সত্যিই জবাব দেওয়া সাহস থাকে পাকিস্তানের সে ক্ষেত্রে কেন সেনা কর্তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাইভেট বিমানে বিদেশে নিরাপদ আশ্রয় পাঠিয়ে দেওয়া হল। আসলে পাকিস্তান ঘরে বাইরে যথেষ্ট চাপে। কারণ এই মুহূর্তে পাকিস্তানের অন্তরে রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিকভাবেও তারা বিপর্যস্ত।
সিন্ধু জল চুক্তি আপাতত স্থগিত। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে কৃষি কাজ করা আশিভাগই সম্ভব হবে না। ফলে চরম সংকটে পাকিস্তান। পাকিস্তান যে কথাই বলুক না কেন ওই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ বলেছেন উপত্যকার এই নারকীয় হত্যাকান্ড আসলে বৃহত্তর ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোন যোগাযোগ নেই। পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এসব বললেও যে জঙ্গি সংগঠনটি টি আর এফ এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা পাক সরকারের মদদপুষ্ট আল-কায়েদা জঙ্গি সংগঠনেরই একটি শাখা। স্বভাবতই পাকিস্তান কোনভাবেই দায় এড়াতে পারে না। বরং মাঝে মাঝে পাল্টা হুংকার দিয়ে মেকি জাতীয়তাবাদের ধ্বজা উড়াতে চাইছে পাক জনতার কাছে। তাই সব মিলিয়ে বিপদেই পাকিস্তান।