কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে নির্বিচারে নিরীহ পর্যটকদের উপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত ২৬ জনের। ঘটনার পিছনে হাত আছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের এবং পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ ভাবে এই ঘটনায় মদত আছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই প্রতিবাদে দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। ওঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান। সেই প্রতিবাদের আঁচ এসে পরে কাঁকসায়। রবিবার সকালে পানাগড় বাজারের রণডিহা মোড় সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানায়। এর পাশাপাশি পানাগড় বাজারের প্রতিটা মোড়ে পুরাতন জাতীয় সড়কের উপর পাকিস্তানের পতাকা এঁকে প্রতিবাদ জানায় পানাগড়ের ব্যবসায়ীরা ও বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। এদিন সকাল থেকে পানাগড় বাজারে মোট ৫টি জায়গায় রাস্তার উপর পাকিস্তানের পতাকা আঁকা হয়।
প্রতিবাদিদের দাবি পাকিস্তান যা করেছে তার জন্য কোনো ক্ষমা নেই। ভারত সরকার, ভারতীয় সেনা এর কড়া পদক্ষেপ নিক। রাস্তার উপর পাকিস্তানের পতাকার উপর সকল ভারতীয় পা দিয়ে মাড়িয়ে ও থুতু ফেলে এর প্রতিবাদ জানাবে তাই তারা রাস্তার উপর পাকিস্তানের পতাকা এঁকে মানুষকে আহবান জানিয়েছেন যাতে সকলেই প্রতিবাদ জানায়। অন্যদিকে এদিন বিকেলে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরা এক হয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায় সকলে। পাশাপাশি এদিন পানাগড়ের রণডিহা মোড় থেকে এক বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয় পানাগড় রামনবমী কমিটির পক্ষ থেকে। এদিন মিছিলে কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এদিন এই মিছিলকে ঘিরে যাতে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই আগে থেকেই গোটা পানাগড় জুড়ে মোতায়েন ছিল কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। উপস্থিত ছিলেন কাঁকসার এসিপি, আইসি সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এদিন প্রতিবাদে সামিল হওয়া হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের বর্ডারে যুদ্ধের আবহওয়া তৈরি হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক। এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করুক। যদি পাকিস্তানের সাথে ভারতের যুদ্ধ হয়, তবে ভারতের তরুণ প্রজন্ম সেই যুদ্ধে সমিল হতে রাজি। এবং যদি রক্তের প্রয়োজন হয় তাও তারা দিতে প্রস্তুত। তবে পাকিস্তানের মদতে জঙ্গিরা যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার জন্য তাদের কোনরকম ক্ষমা করা যাবে না।