মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেওয়া ও কলেজে দেরিতে আসার অভিযোগ জানিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালো বেশ কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া। কলেজের অধ্যাপকেরা সময়মতো ক্লাস নেন না, পাশাপাশি কলেজের অধ্যক্ষ বাদল কুমার জানা ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে কু প্রস্তাব দেন এই অভিযোগ তুলে কলেজগেটে বিক্ষোভ দেখায় তারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কলেজের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক দেরি করে কলেজে আসেন এবং সময়ের আগে কলেজ থেকে চলে যান। পাশাপাশি সেই কলেজের এক ছাত্রীকে কলেজের অধ্যক্ষ ব্যক্তিগত ভাবে ডেকে কু-প্রস্তাবও দেয় বলে অভিযোগ। ছাত্রীর অভিযোগ, প্রিন্সিপাল বলেন, তুমি আমার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করলে তোমাকে পরীক্ষায় ভালো নম্বর দেওয়া হবে।
তোমার ভবিষ্যৎও তৈরী করে দেওয়া হবে। তবে ঐ ছাত্রী নারায়ণগড় থানায় তিন মাস আগে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছিল। কিন্তু সে আজও কোনো সুবিচার পায়নি বলেই অভিযোগ। আর এ বিষয়ে সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে জানালে তিনি তা অস্বীকার করেন। তাই নিরুপায় হয়ে কলেজের গেটে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে নিরীহ ছাত্রছাত্রীরা। এ দিন দুপুরে কলেজের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক দেরি করে কলেজে এলে তাঁদেরকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এই আন্দোলনকারীরা। পরে ঘটনাস্থলে আসে নারায়ণগড় থানার পুলিস। পুলিসের হস্তক্ষেপে তাঁরা কলেজে প্রবেশ করেন। তবে সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ বাদল কুমার জানা কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।
তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী সোনালী সরেন বলেন, এই রাজ্যে মহিলাদের কোনো সুরক্ষা নেই। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই একজন মহিলা, সেই রাজ্যে কলেজের ছাত্রীকে এমন কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন প্রিন্সিপাল। এটা লজ্জার! আমরা এর ধিক্কার জানায়, আমরা কলেজের ঐ ছাত্রীর পাশে আছি। আগামীদিনে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তবে তৃণমূলের মকরামপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি লক্ষীকান্ত শীট জানিয়েছেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি কেউ দোষী হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ-প্রশাসন তা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এখন দেখার বিষয় যে জল কোন দিকে গোড়ায়! তবে অভিযুক্ত খোদ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে স্থানীয় কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাবাসী।