পহেলগাঁও হামলার খবর আগে থেকেই ছিল গোয়েন্দাদের কাছে! চাঞ্চল্যকর এমনই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছেন আধিকারিকরা। যদিও, এই হামলা যে পহেলগাঁওতেই হবে, এমন স্পষ্ট রিপোর্ট ছিল না। এই দাবি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে। শনিবার প্রশাসনের তরফে এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, পর্যটকদের উপর যে হামলা হতে পারে তার আগাম খবর গোয়েন্দারা দিয়েছিল। যদিও গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়, শ্রীনগরের পার্শ্ববর্তী জবরবান রেঞ্জের তলহাটিতে হোটেলে আশ্রয় নেওয়া পর্যটকদের উপর এই হামলা হতে পারে। সেইমতো ওই অঞ্চলে ব্যাপক সতর্কতা জারি করা হয়।
শ্রীনগরে ক্যাম্প করে জোরদার তল্লাশি অভিযান চালানো হয় দাচিগাম, নিশাত সংলগ্ন এলাকায়। গত বছরের অক্টোবর মাসে সোনমার্গের একটি নির্মাণস্থলে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। যে হামলায় একজন ডাক্তার-সহ ৭ জন প্রাণ হারান। এই অঞ্চলটিও শ্রীনগরের উপরে জবরবান রেঞ্জের অপরপ্রান্তে অবস্থিত। ফলে স্পর্শকাতর ওই অঞ্চলে জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা পেয়ে শ্রীনগরের উপকণ্ঠে বড়সড় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। তবে দীর্ঘ তল্লাশির পরও কোনওরকম সাফল্য না মেলায় ২২ এপ্রিল বন্ধ করা হয় তল্লাশি অভিযান।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই একইদিনে পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের নিশানায় নেয় জঙ্গিরা। ধর্ম জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৫ জনকে। পাশাপাশি মৃত্যু হয় আরও এক স্থানীয় নাগরিকের। শুধু তাই নয়, আরও জানা গিয়েছে, ১৯ এপ্রিল কাশ্মীরের কাটরা-শ্রীনগরগামী ট্রেন উদ্বোধনের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার আগেই বড়সড় কোনও হামলা চালানোর ছক ছিল জঙ্গিদের। যদিও শেষ পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়। রেলের তরফে জানানো হয়, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। যদিও এটা স্পষ্ট নয় যে, শ্রীনগর এলাকায় জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে যেতেই, পরিকল্পনা বদলে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালান হয়েছে কিনা। তবে হামলা যে হতে পারে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল।