দীঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ ধাম এর নামকরণ নিয়ে ওড়িশায় তীব্র আপত্তি উঠেছে। বিশেষ করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা পুরী থেকে আনা তীর্থ ক্ষেত্রে থেকে সামগ্রী নির্মাণ হয়েছে কিনা। এছাড়া নিয়ম ভেঙে কোন দই তাপতি বা সেবায়েত দিঘাতে গিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন কিনা। ওড়িশার বিজেপি সরকারের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরি চন্দন পুরী ট্রাস্টের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ কুমার কে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। দীঘার জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন পুরীর রাজেশ দইতা পতি। অভিযোগ এক জগন্নাথ দেবের একাধিক মন্দির থাকতেই পারে। কিন্তু নতুন মন্দিরে পুরীর কোন দই তা প্রতি প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজ করতে পারেন না।
এই নিয়ে ওড়িশা সরকারের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। দ্বিতীয়ত অতিরিক্ত নিম কাঠ আনতে হলে যথাযোগ্য জায়গা থেকে অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে কোন অনুমতি ছিল কিনা তারও রিপোর্ট চেয়েছে ওড়িশা সরকার।পুরির ট্রাস্টের প্রশাসক বলেছেন জগন্নাথ ধাম বলে দ্বিতীয় কিছু করা যায় না। এই নামে আমাদের আপত্তি রয়েছে। কারণ ধাম হলো আবাস। যেখানেই ঈশ্বর বসবাস করেন।এসব নিয়ে এখন উড়িষ্যাতেও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই জন্যই ওড়িশা সরকারের আইনমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বস্তুত এ নিয়ে ওড়িশার বিজেপি সরকারের সঙ্গে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মধ্যে বড় ফাটল দেখা দিল। এই জন্য পারস্পরিক দুই রাজ্যের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে ?সময়ই এর জবাব দেবে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।