জাতি গননার চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। কিন্তু কবে থেকে এবং কারা এই গণনার কাজে নিযুক্ত হবেন তা নিয়ে কোন ঘোষণা করা হয়নি। রাজনীতির ক্যালেন্ডার বলছে এ বছরের শেষে বিহারে ভোট। আর নতুন বছরে ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গ, অসম সহ কয়েকটি রাজ্যে। প্রতি ১০ বছর অন্তর নিয়ম মত জাতি গণনা করা হতো। সেই নিয়ম মত ২০২১ সালে এই গণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের জন্য তা হতে পারিনি। তবে আগে সাধারণ গণনা হতো। অর্থাৎ পুরুষ মহিলা শিশু এদের সম্পর্কে সাধারণ তথ্য পাওয়া যেত। কিন্তু ওই গণনায় যুক্ত হতো না ওবিসিদের তালিকা। কিন্তু এবার জাতি গণনায় ওবিসিদের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটি বড় অংশ।
এছাড়া ওই জাতিগুলো বাংলার মানুষের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির ছবি মিলবে। খোঁজ পাওয়া যাবে লিঙ্গভিত্তিক কত মানুষ অর্থাৎ শিক্ষিত অশিক্ষিত ছেলে মেয়েরা কত বেকার হয়েছে। ভোটের আগে এই গণনা প্রকাশ্যে এলে মমতার সরকার বিরোধীদের আক্রমণের লক্ষ্য হবেন এটা বলা বাহুল্য।এই জাতিগত গণনার দাবি জানিয়েছিল রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব, এমকে প্রমূখরা।তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা হয়নি। দিল্লির একটি সূত্র বলছে আমরা বিজেপিকে পরাস্ত করতে ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছি। ওই জোট নিয়মিত বৈঠকে বসে কি কি দাবি অথবা ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে।
কিন্তু এক্ষেত্রে এসব না মেনে কিছু দল একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেস এখনো পর্যন্ত এই জাতি গননা নিয়ে পক্ষে অথবা বিপক্ষে কোন মন্তব্যই করেনি সরকারিভাবে। তবে দলের সুপ্রিমো গোটা বিষয়টি নিয়েই বিরক্ত। এই জাতি গণনায় উঠে আসবে দেশের মোট জনসংখ্যা কত। পাওয়া যাবে তথ্যভিত্তিক আর্থিক এবং সামাজিক অবস্থান। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর অন্তর এই গণনার হওয়া দরকার। ২০১১ সালে শেষ জাতিগত গণনা হয়েছিল ।এবার ওই গণনা হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি বিশেষ করে আর্থসামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে। মোদি সরকার যেখানে দাবী করছে ভারত আর্থিকভাবে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে প্রতিষ্টিত হতে চলেছে সেখানে এই সমীক্ষা নিঃসন্দেহে দিশা দেখাবে। বেরিয়ে আসবে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা।