ব্যবহার না হওয়ায় এখন বেশিরভাগ পুকুর হয় মজে গেছে অথবা দূষিত হয়েছে জল। তাই এডিএ সেটলার প্রকল্পের মাধ্যমে পুকুর বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। অন্ডাল গ্রামের ডাঁসা পুকুরে প্রকল্প রূপায়ণের কাজ শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিকাশী নালার নোংরা জল দূষণমুক্ত করে তা পুকুরে জমা করা হবে বলে জানান অন্ডাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুধীন পান্ডে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা অন্ডাল পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান রাজু রায় বলেন, গ্রামের রায় পাড়া, গড়াই পাড়া সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০টি পরিবারের ব্যবহৃত নোংরা জল গিয়ে পড়ে রঙ্গিনী মন্দির সংলগ্ন ডাঁসা পুকুরে। ফলে পুকুরটির জলে দূষণ বাড়ছে, দূষণের কারণে সেই জল ব্যবহার করা যাচ্ছে না। প্রকল্প রূপায়ণের মাধ্যমে জল দূষণমুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। জানা যায় নিকাশী নালা ও পুকুরের সংযোগস্থলে ৫০/১২ ফুটের একটি বড় চৌবাচ্চা তৈরি করা হবে। তাতে থাকবে ৬টি চেম্বার। প্রথম চেম্বারটিতে প্লাস্টিক সহ নোংরা আবর্জনা জমা হবে, দ্বিতীয় চেম্বারটিতে জমা হবে আবর্জনা মুক্ত নোংরা জল, তৃতীয় চেম্বারে সেই জল ফিল্টার হবে, পরের চেম্বার গুলিতে কেমিক্যাল মিশ্রণে ফিল্টার জল দূষণমুক্ত হবে। শেষ ধাপে দূষণমুক্ত জল জমা হবে পুকুরে।