পেশায় ফাইনান্স কনসালটেন্ট হলেও নেশায় তিনি মেরিন ফটোগ্রাফার। উত্তরের কলকাতার ব্রিজেশ দে, যিনি অ্যাডভেঞ্চার জগতে ‘সুমিত’ নামেই বেশি পরিচিত, সমুদ্রের গভীরে ক্যামেরা হাতে ঘুরে বেড়ান। স্কুবা ডাইভিং এখনো ভারতে খুব একটা জনপ্রিয় নয়, কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। হ্যাভলক থেকে শুরু করে রেড সি, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা—প্রায় দেড়শো বার ডুব দিয়েছেন।
ব্রিজেশ স্কুবা ডাইভিংয়ের প্রশিক্ষণ নেন থাইল্যান্ডে। তাঁর দক্ষতা তাঁকে ৪০ মিটার গভীরে নামার অনুমতি দেয়। তবে তাঁর মতে, ১৫-২০ মিটারেই জলের নিচের রহস্যময় জগৎ চোখে পড়ে। রঙিন মাছ, কোরাল, সূর্যরশ্মিতে ঝলমলে জল—এইসব দৃশ্যই বন্দি করেন তিনি ক্যামেরায়।
কোমাডো দ্বীপে ডাইভ করতে গিয়ে বিপরীত স্রোতে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কাও হয়েছিল। তবুও সাহস আর অভিজ্ঞতা দিয়ে ফিরে এসেছেন। ব্রিজেশ বলেন, “ভয় পেলে চলবে না। জলের নিচেও একটা নতুন জীবন আছে, যেটা আবিষ্কার করাটাই আমার নেশা।”