পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ কনক্লেভ শুরুর আগে ভ্যাটিকানে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। সিস্টাইন চ্যাপেলে ইনস্টল করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী চিমনি, যার মাধ্যমে ভোটগ্রহণের পর ব্যালট পুড়িয়ে সাদা বা কালো ধোঁয়ার মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। কনক্লেভ শুরুর আগে, প্যাপাল লিটার্জিক্যাল সেলিব্রেশনের প্রধান আর্চবিশপ দিয়েগো রাভেল্লি ‘এক্সট্রা ওমনেস’ (সবার প্রস্থান) ঘোষণা করে কার্ডিনাল নির্বাচকদের ছাড়া সবাইকে চ্যাপেল ত্যাগের নির্দেশ দেবেন। এর পরেই সংক্ষিপ্ত প্রার্থনার মাধ্যমে শুরু হবে কনক্লেভ।
এ উপলক্ষে ফিরে দেখা যাক সিস্টাইন চ্যাপেলের ইতিহাস। ১৪৭৩-৮১ সালের মধ্যে নির্মিত এই চ্যাপেলটি ভ্যাটিকান প্রাসাদের অংশ। বাইরের থেকে এটি সাধারণ ইটের একটি ভবনের মতো দেখালেও এর ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্প। এটি পোপ সিক্সটাস চতুর্থ-এর নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি এই প্যাপাল চ্যাপেল নির্মাণের নির্দেশ দেন। মূলত রোমে অ্যাভিনিয়নের বিভেদের পর পোপদের প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে ভ্যাটিকানকে গৌরবময় করে তোলার অংশ হিসেবেই চ্যাপেলটি নির্মাণ করা হয়। মাত্র ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য, ৪৪ ফুট প্রস্থ ও ৬৮ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই চ্যাপেলেই আগামী দিনের পোপ নির্বাচিত হবেন— এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হবে সারা বিশ্ব।