মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কাজে লাগতে পারে এসব নিয়ম।মুখের দুর্গন্ধ শুধু একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে না, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতেও বাধ্য করে। এটি নানা কারণে হতে পারে—খাদ্যাভ্যাস, মুখের পরিচ্ছন্নতার অভাব, জলশূন্যতা, দাঁতের সমস্যা বা অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যগত কারণেও।
তবে এই সমস্যার সহজ ও প্রাকৃতিক সমাধান রয়েছে। দৈনন্দিন কিছু সহজ অভ্যাস এবং ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই মুখের দুর্গন্ধ থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে এমনই কিছু কার্যকর প্রাকৃতিক উপায় তুলে ধরা হলো:—
১. মুখ ধোয়া: কুসুম গরম জল, লবণ জল অথবা মাউথওয়াশ দিয়ে দিনে দু’বার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে শ্বাসকে সতেজ রাখে।
২. জিভ পরিষ্কার করা : জিভে দুর্গন্ধযুক্ত ব্যাকটেরিয়া জমে থাকতে পারে। তাই প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করার পর জিভ স্ক্র্যাপার দিয়ে জিভ পরিষ্কার করুন।
৩. মৌরি ও মেথি বীজ খান : ঐতিহ্যগতভাবে মৌরি ও মেথি বীজ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে ব্যবহৃত হয়। খাবার শেষে বিশেষ করে রাতের খাবারের পর এগুলো চিবিয়ে খেলে মুখে সতেজতা আসে। এগুলো সাধারণভাবে, ভাজা অথবা চিনির প্রলেপ দেওয়া অবস্থায় খাওয়া যায়।
৪. লবঙ্গ চিবান : লবঙ্গ মুখের নানা সমস্যায় উপকারী। দিনে কয়েকবার ২-৩টি লবঙ্গ চিবিয়ে বা চুষে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
৫. চুইংগাম চিবান : হ্যাঁ, চুইংগাম চিবালে মুখে তাজা গন্ধ আসে এবং দুর্গন্ধ কমে যায়। চিনি-মুক্ত চুইংগাম বেছে নিন।
৬. অয়েল পুলিং প্রয়োগ করুন : এই প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে নারকেল তেলের মতো তেল মুখে নিয়ে ১০-২০ মিনিট ধরে কুলকুচি করতে হয়। এটি কেবল দুর্গন্ধ নয়, দাঁতের ক্ষয়ও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৭. জল পান : শরীরে জলের অভাব হলে মুখ শুকিয়ে যায়, যা মুখে দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত জল পান করুন।
৮. সাইট্রাস ফল খান : লেবু, কমলা জাতীয় টক ফল মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং মুখে সতেজতা আনে।
৯. কালো চা পান : কালো চা খেলে মুখের দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে।
নিয়মিত অভ্যাসে নিয়ে আসলে প্রাকৃতিকভাবেই মুক্তি মিলবে মুখের দুর্গন্ধ থেকে।