ভারতের স্থল বন্দর গুলির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য আমদানিতে বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। বিশেষ করে কাপড়, খাদ্য সামগ্রী আমদানীর ওপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যেই ভাতে মারার আশঙ্কায় ত্রাহি ত্রাহি রব ছুটে গিয়েছে বাংলাদেশের মোহাম্মদ ইউনুস সরকারের। গত কয়েক মাস ধরেই যেভাবে পাকিস্তান এবং চীনের প্ররোচনায় বাংলাদেশের ইউনুস সরকার বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত এবং ভারতের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসার রাজনীতি করে আসছিল এবং মাঝে মধ্যেই ফাঁকা আওয়াজ ছাড়ছিল যে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের সাত রাজ্যকে তারা নাকি দখল করে নিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করবে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির এই বাণিজ্য নীতির ফলে এখন কার্যত হাবুডুবু খাচ্ছে সেই বাংলাদেশ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ রবিবার জোর দিয়ে বলেছেন যে, পূর্ব প্রতিবেশী দেশটি ভারতের বিরুদ্ধে গেলে টিকে থাকতে পারবে না। রবিবার সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা এনআইয়ের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বাংলায় বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা যখন পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারি, তখন বাংলাদেশ কি? এটি চারদিক থেকে ভারত দ্বারা বেষ্টিত। বাংলাদেশের জন্য, বায়ু থেকে পানি, ব্যবসা থেকে বাণিজ্য, সবকিছু আমাদের হাতে। তাদের বুঝতে হবে যে তারা ভারতের বিরুদ্ধে গেলে টিকে থাকতে পারবে না। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মহাম্মদ ইউনূস চিনে এক বক্তৃতায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে ‘সমুদ্রে প্রবেশাধিকারহীন স্থলবেষ্টিত অঞ্চল’ হিসেবে উল্লেখ করার পর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ভারতীয় অধিকর্তারা এই মন্তব্যকে অঞ্চলের সংযোগ এবং সার্বভৌমত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন, যার ফলে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে তৈরি পোশাক এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের মতো পণ্য নির্দিষ্ট সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে আমদানি সীমিত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই বলা হয়েছে। নতুন নির্দেশ অনুসারে, বাংলাদেশ থেকে সকল ধরণের তৈরি পোশাক এখন শুধুমাত্র কলকাতা সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা যাবে, স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশের অনুমতি আর নেই।