গত বৃহস্পতিবারের ঘটনায় বিকাশ ভবনে আটকে পড়েন কয়েকশো সরকারি কর্মী। তাঁদের মধ্যে কেউ অন্তঃসত্ত্বা, আবার কারও বাড়িতে অসুস্থ বৃদ্ধা মা। তাই অফিস ছুটির পর বাড়ি ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন সরকারি কর্মীরা। পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে গেলে বিকাশ ভবন চত্বরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলন করার একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে, সেকথা চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমার যথেষ্ট সিমপ্যাথি ছিল। থাকবে। আমি বলেছিলাম রিভিউ করব। কোর্টে কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। আমরা রিভিউ পিটিশন করেছিলাম। আদালত কোনও সিদ্ধান্ত নিলে মানব না বলতে পারি না।
এখনও কারও মাইনে বন্ধ হয়নি। গ্রুপ সি, ডি কর্মীদের স্কিম করে মাইনে দেওয়া হচ্ছে। এই আন্দোলনে যারা উসকানি দিচ্ছে তারাই মামলা করেছে। নাটের গুরুরা, স্বার্থরক্ষার গুরু হয়ে যায় তাহলে মুশকিল। রাজ্য সরকারের উপর ভরসা রাখা উচিত ছিল। শিক্ষকদের কাছ থেকে সৌজন্য, সম্মান আশা করি। বিকাশ ভবনে রাজ্য সরকারের কমপক্ষে ৫০টি দপ্তর রয়েছে। অন্তত ৫০০-৬০০ কর্মী কর্মরত সেখানে। সরকারি কর্মীদের আটকে রেখে চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, “কাউকে আটকে রাখা যায় না। রাস্তা অবরোধ করে কারও সমস্যা করা যায় না। অন্তঃসত্ত্বাকে আটকে রাখা হচ্ছে। এক পরীক্ষার্থীকে বেরতে দেওয়া হয়নি। ঝাঁপ দিয়েছে। পা ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি।” ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকদের মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, “আন্দোলন করার একটা লক্ষ্মণরেখা আছে। এভাবে লড়াই না করে আইনি লড়াই করুন। আমরা আপনাদের বিপক্ষে নই।