খারিজ হয়ে গেল মসজিদ কমিটির সমীক্ষা না করার আবেদন। গত বছর ১৯ নভেম্বর নিম্ন আদালতে একটি মামলায় দাবি করা হয়, শাহি মসজিদ মোগল সম্রাট বাবরের আমলে হরিহর মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল। এই মামলা দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতের বিচারক মসজিদ সমীক্ষার নির্দেশ দেন। গত বছরের ২৪ নভেম্বর সরকারি আধিকারিকরা সমীক্ষার কাজে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। এলাহাবাদ হাই কোর্টে পাঁচশো বছরের মসজিদটির সমীক্ষার নিম্ন আদালতের নির্দেশ বাতিলের দাবিতে মামলা করেছিল সম্ভল শাহি জামা মসজিদ কমিটি।
আবেদন তারা জানায়, তারাহুরো করে আগাম নোটিস ছাড়াই সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। আরও দাবি করা হয়, ইতিমধ্যে দুবার মসজিদ সমীক্ষা হয়েছে। একবার হিন্দু পক্ষের মামলার দিনেই, এরপর ২৪ নভেম্বর। যেদিন হিংসা ছড়ায়। যদিও এলাহাবাদ হাই কোর্টে বিচারপতি রঞ্জন অগরওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ নিম্ন আদালতের সমীক্ষার নির্দেশ বহাল রাখে। খারিজ হয়ে যায় মসজিদ কমিটির আবেদন। শুনানিতে হিন্দুপক্ষ নিজেদের দাবি থেকে নড়েনি। আইজীবী হরি শংকর জৈন দাবি করেন, ১৫২৬ সালে হরিহর মন্দিরের একাংশ ভেঙে মসজিদটি তৈরি হয়েছিল। ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই) আদালতে জানিয়েছে, মসজিদটিকে কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, যাকে জনসাধারণের উপাসনার স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। কারণ এই ধরনের দাবির পক্ষে কোনও সমর্থনকারী রেকর্ড নেই।