চোর অপবাদ না সহ্য করতে পেরে বাড়িতে রাখা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলো এক সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র।আত্মহত্যার আগে অপমানিত এই ছাত্র তার মায়ের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে দাবী করেছে “চিপসের প্যাকেট চুরী করিনি,কুড়িয়ে পেয়েছিলাম”।মর্মান্তিক এই ঘটনাটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় বাজারের ।
তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র কৃষ্ণেন্দুর। এই খবর জানার পরেই এলাকা ভীষণ উতপ্ত।
জানা গেছে রবিবার কৃষ্ণেন্দু চিপস কিনতে দাস বাজারে গিয়েছিল। সেখানে এক সিভিক ভলান্টিয়র শুভঙ্কর দীক্ষিতের দোকানে এগুলো বিক্রী হয়। সেই দোকানেই গিয়েছিল কৃষ্ণেন্দু। মৃত ছাত্রের পরিবারের দাবি কৃষ্ণেন্দু দোকানে গিয়ে বারবার ডাকার পরেও দোকানদারের সাড়া পায়নি। সেই সময় বাড়ি ফিরতে গিয়ে দোকানের বাইরে চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে কৃষ্ণেন্দু সেই প্যাকেট কুড়িয়ে নেয়।
অভিযোগ এরপর বাড়ি ফেরার সময় সেই দোকানের মালিক শুভঙ্কর মোটর বাইক নিয়ে ধাওয়া করে ওই নাবালকের পেছনে। কৃষ্ণেন্দুকে পাকড়াও করে চুরির অপবাদ দেয়।ভরা বাজারে তাকে কান ধরে ওঠবস করায়, মারধরও করে বলে অভিযোগ।
মৃত ছাত্রের পরিবারের দাবি তাঁরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে টাকা দেবার পরেও অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার কৃষ্ণেন্দুকে অপমান করতে থাকে। মৃত ছাত্রের মা জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে ওই সিভিকের কথা শুনে তিনিও ঘটনাস্থলে কৃষ্ণেন্দুকে শাসন করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন তারপর থেকেই মনমরা ছিলো কৃষ্ণেন্দু।এরপরেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।আত্মহত্যার আগে মায়ের উদ্দেশে লেখা তার শেষ চিঠিতে নিজের নাম, ক্লাস, রোল নম্বর দিয়ে তার লিখিত বয়ান, ‘মা আমি বলে যাচ্ছি যে, আমি চিপসের প্যাকেটটি চুরি করিনি। কুড়িয়ে পেয়েছিলাম…’