২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত দেখতে চান প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। শনিবার নয় দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন বিকশিত ভারত দেখতে হলে দেশের প্রতিটি রাজ্যকেও হতে হবে বিকশিত। অর্থাৎ সারভিক উন্নয়ন না হলে রাজ্যগুলির দেশের উন্নয়ন হবে না। মোদী বলেছেন দেশের উন্নয়নের জন্য তৈরি করতে হবে ইন ইন্ডিয়া। নীতি আয়োগের দশম কাউন্সিলের এ দিনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন অপারেশন সিঁদুর কে ১৪০ কোটি ভারতবাসী একতা সঙ্গে সমর্থন করেছেন। আমি চাই সেই একতাকে সামনে রেখে গড়ে উঠবে নতুন ভারত। আর এজন্যই প্রয়োজন টিম ইন্ডিয়া। অর্থাৎ মোদি স্পষ্ট করেছেন রাজনীতির ভেদাভেদ ভুলে বিকশিত নতুন ভারত গড়ে তোলা হবে নতুন ভারত।
এদিনের বৈঠকে চারজন মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন তিনি ওই বৈঠকে যোগ দেবেন না। গতবার ওই বৈঠকে বলার সময় তার মাইক বন্ধ হয়ে যায়। চক্রান্তের অভিযোগ তুলে সেদিনের বৈঠক তিনি বয়কট করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার কথা মনে রেখেই তিনি যাননি। এছাড়া যাননি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী স্নিধা রামাইয়া এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কিন্তু সোমবার দুপুরে দিল্লিতে ইন্ডিয়ার বৈঠকে যোগ দিতে এসে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার নীতি আয়োগ এর বৈঠকে যোগ দেননি। দিল্লিতে থেকেও কেন তিনি যোগ দিলেন না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। সামনে বিহারের ভোট। তবে কি বিহারের এই রাজনৈতিক চাণক্য নতুন অংক কষা শুরু করেছেন?
এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক রাজ্যকে পর্যটনের উপর গুরুত্ব দিতে বলেন। তিনি বলেন উন্নয়নের একটি রোড ম্যাপ তৈরি করুন প্রতিটি রাজ্য। সব রাজ্যেই একটি করে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠুক। যা বিকশিত ভারতের একটি মুখ হয়ে উঠবে।
এ দিনের বৈঠকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে ট্যালিন কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি তে দক্ষিণ ভারতে হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কোনভাবেই পাঠ্যক্রমে হিন্দি রাখছি না।