নদিয়া জেলার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করার পরই পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়েছে। প্রার্থী ঘোষণার পরদিন থেকেই শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি প্রচার, মিছিল, পথসভা এবং জনসংযোগের কর্মসূচি। দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, এই উপনির্বাচন তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই প্রথম থেকেই তারা সংগঠিতভাবে মাঠে নামার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
অপরদিকে, এখনও পর্যন্ত বাম-কংগ্রেস জোট, বিজেপি বা আইএসএফ — কোনও দলই তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। তবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, এই বিলম্ব বিরোধী শিবিরের ভিতরে সমন্বয়ের অভাব ও কৌশলগত দ্বিধার প্রতিফলন।
আইএসএফ-এর তরফে ইন্দাদুল ইসলাম জানান, তারা স্পষ্টভাবে তৃণমূল ও বিজেপির বিরোধী। যদি বাম ও কংগ্রেস একত্রে জোট করে প্রার্থী দেয়, তবে তারা সেই জোটের সঙ্গেই থাকবে। তবে কোনও কারণে যদি জোট না হয়, তাহলে আইএসএফ এককভাবে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপি-র পক্ষ থেকেও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। দলের একাংশ সূত্রে খবর, তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় জেলা স্তরে প্রস্তুতি কার্যত শ্লথ।
সিপিএমের তরফেও এখনও পর্যন্ত কোনও নাম সামনে আসেনি। তবে কংগ্রেস সূত্রে জানা যাচ্ছে, তারা ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছে। তালিকায় রয়েছেন চারজনের নাম । এই চারজনের মধ্য থেকেই চূড়ান্ত প্রার্থী বেছে নেওয়া হতে পারে বলে কংগ্রেস নেতৃত্ব ইঙ্গিত দিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের আগাম প্রস্তুতি এবং মাঠে নামার কৌশল এ বার উপনির্বাচনে তাদের পক্ষে কাজ করতে পারে, যদি না বিরোধীরা দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংঘবদ্ধ প্রচারে নামতে পারেন।
নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই উত্তেজনা বাড়ছে কালীগঞ্জ কেন্দ্রে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে যথেষ্ট, তবে তারা অপেক্ষা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী সব দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট অবস্থান এবং প্রার্থী ঘোষণার।