মুর্শিদাবাদের শিল্পনগরী ফারাক্কার খোসালপুর ব্রিজের কাছে দীর্ঘদিন ধরে মাথা উঁচু করে রয়েছে স্থানীয় জামে মসজিদ। সেই মসজিদের কাছাকাছি এলাকায় গড়ে উঠছে মদের দোকান। এ নিয়ে গোটা ফারাক্কা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। এলাকার মুসলিম জনমানষে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, আমরা স্থানীয় মানুষজন ও মসজিদ কমিটির তরফে দীর্ঘদিন পূর্বে মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক, জেলা আবগারি দপ্তরের আধিকারিক সহ অন্যান সরকারি আধিকারিকদের লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি যাতে করে মসজিদের কাছাকাছি এলাকায় সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মদের দোকানের লাইসেন্স না দেওয়া হয়। এখন শোনা যাচ্ছে, লাইসেন্স পেয়ে গেছে এস এ রেস্তোরা ও ক্যাফে।
মসজিদের ইমাম কাবিল সেখের বক্তব্য, আমরা যতটুকু জানি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ফুটের ভেতরে কোনো মদের দোকান করা যাবে না। এটা সরকারের নিয়ম। কিন্ত পরিতাপের বিষয়, সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে মসজিদ থেকে মাত্র তিনশো ফুটের ভেতরে মদের দোকান গড়ে উঠছে। প্রশাসন নির্বিকার। দেখেও না দেখার ভান করছে।
অল ইন্ডিয়া ইমাম মুয়াজ্জিন এন্ড সোশ্যাল ওয়েল ফেয়ার অর্গানাইজেশন এর ফারাক্কা ব্লকের কর্তা মাওলানা আনিকুল ইসলাম জানান,
খোসালপুর ব্রিজের কাছে দীর্ঘদিনের একটি জামে মসজিদ রয়েছে। তার কাছাকাছি এলাকায় একটি নতুন মদের দোকান নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই দোকানটি নির্মিত হচ্ছে এমন একটি জায়গায়, যেখানে রয়েছে একটি জামে মসজিদ। এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মানুষ বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন উদ্বিগ্ন। তাদের অভিযোগ, মদের দোকানটি তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবে এবং স্থানীয় পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। তারা জানান, এই ধরনের স্থাপনাটি তাদের পবিত্র স্থানসমূহের কাছাকাছি নির্মাণ করা হলে, তা তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।
মাওলানা আনিকুল বলেন, এই মদের দোকানটি খোলার ফলে মাদকাসক্তি, অপরাধ প্রবণতা এবং নৈতিক অবক্ষয়ের মতো সামাজিক সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাদের দাবি, মদের দোকান মসজিদের কাছাকাছি এলাকায় আমরা কোনমতেই খুলতে দেব না । আমরা আগামী সপ্তাহে আমাদের সংগঠনের তরফে ফারাক্কা বিডিও সাহেবকে ডেপুটেশন দেবো কাজ না হলে গোটা ফারাক্কা জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।
এস ডি পি আই এর ফারাক্কা বিধানসভার সভাপতি সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মসজিদের কাছে মদের দোকান খোলা হলে এস ডি পি আই চুপ করে বসে থাকবে না।
এদিকে, এস এ রেস্তোরা এন্ড ক্যাফের কর্তা সৌভিক সরকার বলেন, আমরা সরকারি নিয়ম মেনেই মদের দোকান করছি।
সূত্রের খবর, গোটা ফারাক্কা জুড়ে এস ডি পি আই, ইয়ুথ ইসলামিক এসোসিয়েশন, জমিয়তে আহলে হাদিস,জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মদ বিরোধী আন্দোলনের জন্য কোমর বাঁধছে।