বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে খরস্রোতা তিস্তা। শুক্রবার বিপর্যয়ের পর লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আরও বৃষ্টির আশঙ্কার কথাও হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ফিদাং গ্রাম ভেসেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। মুন্সিথাংয়ের কাছে খাদে গাড়ি উলটে নিখোঁজ আট পর্যটকের খোঁজে এদিন তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে ফের উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী বর্ষণের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গন, গিয়ালশিং, সোরেং জেলায় বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে সিকিম প্রশাসন। মঙ্গন জেলায় বন্যা ও ভূমিধসের লাল সতর্কতা জারি করে নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হচ্ছে।
গ্যাংটক জেলার মধ্যে অবস্থিত ডিকচু থেকে সিংতাম পর্যন্ত তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকাতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে পর্যটকদের উত্তর সিকিম ভ্রমণ পারমিট ইস্যু। এদিকে ভুটান পাহাড়েও অতিভারী বর্ষণের সতর্কতা জারির ফলে উত্তরের ডুয়ার্স এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে পাহাড়-সমতলের একাধিক জায়গায় অতিভারী বৃষ্টিপাতের জেরে তিস্তা, জলঢাকা, তোর্সা, সংকোশ, রায়ডাক-সহ প্রতিটি নদীর জলস্তর বাড়ছে। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণের জেরে একাধিক জায়গায় ভূমিধস নেমেছে। বন্ধ হয়েছে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা। সিকিম প্রশাসনের তরফে লাচুং, লাচেন সহ গোটা উত্তর সিকিম ভ্রমণের পারমিট বাতিল করা হয়েছে।